আহসান হাবীব'একজন খ্যাতিমান কবি ও সাহিত্যিক।
আহসান হাবীব‘একজন খ্যাতিমান কবি ও সাহিত্যিক। আহসান হাবীবের জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পিরোজপুরের শংকরপাশা গ্রামে৷ পিতার নাম হামিজুদ্দীন হাওলাদার৷ মাতা জমিলা খাতুন৷ তাঁরা ছিলেন পাঁচ ভাই, চার বোন৷ পিতা মাতার প্রথম সন্তান ছিলেন আহসান হাবীব। পারিবারিক ভাবে তিনি সাহিত্য সংস্কৃতির আবহের মধ্যে বড় হয়েছেন৷ বাড়িতে ছিল আধুনিক সাহিত্যের বইপত্র ও কিছু পুঁথি৷ যেমন আনোয়ারা, মনোয়ারা, মিলন মন্দির প্রভৃতি৷ এসব পড়তে পড়তে একসময় নিজেই কিছু লেখার তাগিদ অনুভব করেন৷
১২/১৩ বছর বয়সে স্কুলে পড়ার সময়ই ১৯৩৩ সালে স্কুল ম্যাগাজিনে তাঁর একটি প্রবন্ধ ‘ধরম’ প্রকাশিত হয়৷ তার পরের বছর পিরোজপুর গভর্নমেন্ট স্কুল ম্যাগাজিনে ছাপা হয় তাঁর প্রথম কবিতা ‘মায়ের কবর পাড়ে কিশোর’ ৷ পরবর্তী সময়ে ছাত্রাবস্থায় কলকাতার কয়েকটি সাহিত্য পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হলে নিজের সম্পর্কে আস্থা বেড়ে যায়৷এরই মধ্যে দেশ, মোহাম্মদী, বিচিত্রার মতো নামি দামি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয় তাঁর বেশ কিছু লেখা।
আহসান হাবীব পিরোজপুর গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে ১৯৩৫ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন৷ এরপর তিনি চলে আসেন বরিশালে৷ ভর্তি হন সেখানকার বিখ্যাত বিএম কলেজে৷ বিএম কলেজে দেড় বছর পড়ার পর ১৯৩৬ সালের শেষার্ধে কাজের খোঁজে তিনি কলকাতায় পাড়ি জমান৷কলকাতায় এসে তিনি ১৯৩৭ সালে দৈনিক তকবির পত্রিকার সহ সম্পাদকের কাজে নিযুক্ত হন । পরবর্তীতে তিনি ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত কলকাতার বুলবুল পত্রিকা ও ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত মাসিক সওগাত পত্রিকায় কাজ করেন৷ এছাড়া তিনি আকাশবাণীতে কলকাতা কেন্দ্রের স্টাফ আর্টিস্ট পদে ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কাজ করেন৷
শওকত ওসমান এবং কবি আহসান হাবীব ছিলেন ঘনিষ্ঠতম বন্ধু। তরুণ বয়সে কলকাতা থেকে, জীবন সায়াহ্নেও সেই বন্ধুত্ব ছিল অটুট। আহসান হাবীব ১৯৪৭ সালের ২১ জুন বিয়ে করেন বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া নিবাসী মহসীন আলী মিয়ারকন্যা সুফিয়া খাতুনকে। দুই কন্যা ও দুই পুত্রের জনক ছিলেন তিনি। তাঁর দুই কন্যা হচ্ছেন, কেয়া চৌধুরী ও জোহরা নাসরীন এবং দুই পুত্র মঈনুল আহসান সাবের ও মনজুরুল আহসান জাবের।
কাব্যগ্রন্থ, বড়দের উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটদের ছড়া ও কবিতার বই সব মিলিয়ে আহসান হাবীবের বইয়ের সংখ্যা ২৫টির মতো। ১৯৮৫ সালের ১০ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন এই কীর্তিমান বাঙালী।
তথ্য ও ছবি : সংগৃহীত
© 2012 – 2018, https:.