চোরগুলোর কারণেই আজ এ অবস্থা
বীর এক মুক্তিযোদ্ধার জীবন কাটছে প্রায় নিভৃতে, ঢাকার মেরাদিয়ায়। শুধু মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েই তিনি থেমে যাননি, স্বাধীন দেশে গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যও কাজ করেছেন নিবিড়ভাবে। নিজের যতটুকু সম্পদ ছিল তা-ই দিয়েই মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছেন। বয়স তাঁর ৭২। বার্ধক্য ও নানা রোগে আক্রান্ত। তাঁর দুই কিডনিই হারিয়ে ফেলেছে কার্যক্ষমতা। তবু মৃত্যুর প্রহর গোনা নয়, এ যোদ্ধা মগ্ন থাকেন দেশ ও মানুষের উন্নয়ন চিন্তায়। এমন খবরটি পাই আরেক মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে।
মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হলে শুনতে হবে ওইসব মানুষের জীবনের গদ্যও। এক একজন মুক্তিযোদ্ধার জীবনের ইতিহাসই মুক্তিযুদ্ধের এক একটি ইতিহাস। সে ভাবনা থেকেই এক সকালে পা রাখি মুক্তিযোদ্ধা এ এস এম আকরাম হেলালের মেরাদিয়ার বাড়িতে। মুখোমুখি চলে নানা বিষয়ে আলাপচারিতা।
কেমন আছেন?
প্রশ্ন শুনেই মুচকি হাসেন। অতঃপর উত্তরে বলেন, “জীবনের স্পিরিটটাই এখন থেমে গেছে। অনেক স্বপ্নই স্বপ্ন হয়ে থাকল। মনে বড় দুঃখ। মানুষের কাজে ব্যস্ত ছিলাম সারা জীবন। এখন টেলিভিশনটাই আমার সঙ্গী। ছেলেমেয়েদের সময় দিতে পারি নাই। বাবার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটটাও ওদের কখনও কাজে লাগেনি। ঘরে বসে এখন জীবনের হিসাব মিলাই। আগে গান লিখতাম। সুরও দিতাম। সে সুরও এখন মিলিয়ে যাচ্ছে।”
ছামসুদ্দিন আহমেদ ও হালিমুন্নেসার পঞ্চম সন্তান এ এস এম আকরাম হেলাল। বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার উলুহাটি গ্রামে। বাবা ছিলেন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর। ফলে তাঁর বদলির কারণে আকরামদেরও জীবন কাটে বিভিন্ন উপজেলায়। আকরামের লেখাপড়ায় হাতেখড়ি তারাইল প্রাইমারি স্কুলে। ১৯৬১ সালে তিনি চন্ডিপাশা হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করে চলে আসেন ঢাকায়, বড় ভাইয়ের বাড়িতে। অতঃপর ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে। এখান থেকেই ইন্টারমেডিয়েট এবং ১৯৬৬ সালে তিনি ডিগ্রি পাস করেন।
শৈশব ও কৈশোরের নানা স্মৃতি আজও আবেগতাড়িত করে এই যোদ্ধাকে। তাঁর ভাষায়:
“বন্ধু আব্দুস সালাম ভূঁইয়া, মকবুল হোসেন, শফিউল্লাহ, জগত মিয়া, রামকৃষ্ণ, আব্দুর রহমান, বাবুর কথা খুব মনে পড়ে। স্কুলের মাঠে আমরা ফুটবল খেলতাম। রাইট সাইডের প্লেয়ার ছিলাম। হায়ারেও খেলতে যেতাম। আচারগাঁয়ের সঙ্গে একবার খেলা হয়। দুইদিন চলছিল খেলাডা। হালুয়াঘাটের গারো প্লেয়ার আনে ওরা। শেষ পর্যন্ত আমরা হেরে যাই। খেলা শেষে ওইদিন খুব কেঁদেছিলাম।
“আমার বয়স তখন আট বছর। ভাষা আন্দোলন চলছে। মিছিল আরম্ভ হইছে তারাইল বাজারে। মিছিল দেখলে তখন ঠিক থাকতে পারতাম না। যোগ দিয়াই স্লোগান দিছি,‘উর্দু ভাষার পতন চাই, নুরুল আমীনের কল্লা চাই’।
“ঢাকায় এসে বন্ধুগো খুব মিস করতাম। বড় ভাই আবু নাসির ওয়াহিদের সাথে থাকতাম মালিবাগ রেলগেটের পাশে। শান্তিনগর এসে বাসে উঠতাম। ভাড়া ছিল দুই আনা। ঢাকায় তো লোক নাই তখন। ব্রেক ছাড়াই সাইকেল দৌড়াইছি নওয়াবপুরের মতো জায়গা দিয়া। এখন তো এটা চিন্তাও করা যায় না!”
সামরিক শাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন দানা বাঁধছে তখন। কলেজে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হন আকরাম হেলাল। জগন্নাথ কলেজের নেতা ছিলেন আওয়ামী লীগের রেজা। তখন কলেজ থেকে মিছিল শুরু হয়ে নাজিমুদ্দিন রোড, সেন্ট্রাল রোড, চকবাজার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যেত। সাধারণ মানুষও অংশ নিত ওই মিছিলে। কণ্ঠ আকাশে তুলে আকরামরা শ্লোগান তুলতেন, ‘আইয়ুব শাহী নিপাত যাক, গণতন্ত্র কায়েম কর’।
ডিগ্রি পাসের পর আকরাম হেলাল ফিরে যান নিজ গ্রামে। শিক্ষকতা শুরু করেন মুসুল্লী হাই স্কুলে এবং পরে পুরোরা হাই স্কুলে। গণিত শিক্ষক হিসেবে খুব জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। হেলাল বিএসসি বললে দশগ্রামের মানুষ এখনও তাঁকে একনামে চেনে।
সত্তরের নির্বাচনের পর শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। দেশের নানা জায়গায় চলে গুলিবর্ষণের ঘটনা। আকরাম তখন ছিলেন ঢাকার কাফরুলে, এক ভাইয়ের বাড়িতে। বাকি ইতিহাস শুনি তাঁর জবানিতে:
“কাফরুল এলাকাটা ছিল রানওয়ের সাথে লাগোয়া। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকের ঘটনা। পাকিস্তানিরা সারা রাত সেভেন জিরো সেভেন বোয়িং বিমানে আর্মি নামাত। রানওয়ে থেকে ওরা কচুক্ষেত ফিল্ডের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যেত। খুব কাছ থেকে দেখেছি সেটা। তখনই টের পাচ্ছিলাম। ভবিষ্যত ভালো না। রক্তক্ষয়ী কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ফায়ার হত। মানুষও অস্থিরতায় ভুগছে। সবার দৃষ্টি তখন শেখ সাহেবের দিকে।”
মার্চের প্রথম দিকেই আকরাম ফিরে আসেন নান্দাইলে। সেখানেই রেডিওতে শোনেন বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ। তাঁর ভাষায়:
“বাজারে বসে শুনেছি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। ওই ভাষণ শিক্ষিত যুবকদের উদ্দীপ্ত করেছিল প্রবলভাবে। বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এরপরও যে মুক্তি মিলবে, দেশ স্বাধীন হবে– তখনও বুঝতে পারিনি আমরা।”
আপনারা তখন কী করলেন?
‘ইয়াং জেনারেশনকে একত্রিত করার চেষ্টা করলাম। নিজেও তখন বাজারে বাজারে গিয়ে ভাষণ দিতাম। ২৫ মার্চ ১৯৭১। ঢাকায় আর্মি নামার খবর পাই রেডিওতে। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাটি শুনেই হিট খেলাম। যাক আমগো আর্মিও তো নামছে। আর্মি ও পুলিশ যদি ইনভলভ না হত তাহলে স্বাধীনতা সম্ভব হত না।”
এপ্রিলের কথা জানালেন আকরাম। নিজ গ্রামের উলুহাটি স্কুলের মাঠে তাঁরা বাঁশের লাঠি দিয়ে যুবকদের প্রশিক্ষণ করাতে থাকে। একসময় ময়মনসিংহ শহরে ট্রেনিংয়ের খবর পান। কিছু চাল-ডাল-আটা সংগ্রহ করে তাঁরা চলে যান ময়মনসিংহের সিটি স্কুল ক্যাম্পে। সেখান থেকে তাদের পাঠানো হয় জিলা স্কুলের মাঠে। পুলিশ ও ইপিআরের বাঙালি সদস্যরা ট্রেনিং করাচ্ছিলেন সেখানে। তিনদিন থাকার পর পাকিস্তানি সেনারা ফাইটারে গুলিবর্ষণ শুরু করে। ফলে আকরামরা ফিরে আসেন নিজ গ্রামে।
পরে কোথায় ট্রেনিং করলেন?
“আগস্ট মাসের ঘটনা। উদ্যোগী মানুষ ছিলাম। ট্রেনিংয়ের চিন্তায় তাই ইতস্তত ঘুরতেছি। একদিন বন্ধু মজিবুর, আব্দুস সালাম ভূঁইয়া, মকবুল হোসেন, মাজহারুল, সিদ্দিকসহ ছয়জন একত্রিত হই। এক সকালে আমরা তাহেরপুর হয়ে চলে আসি ভারতে মহেশখোলা ইয়ুথ ক্যাম্পে। সেখান থেকে প্রথমে বাগমারা এবং পরে হায়ার ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় তুরাতে। অস্ত্র ট্রেনিং হয় ১৫ দিন আর সাতদিন ছিল জঙ্গল প্যারেড। ফায়ারিং, এলএমজি, গ্রেনেড থ্রো, এসএলআর চালানো শেখায়। এক্সক্লোসিভে আমি ছিলাম পারদর্শী। এফএফ নং ছিল-৯৫৫৬।
“ট্রেনিং শেষে আমাদের ৯০ জনের দলকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মহেশখোলায়। কমান্ড করতেন কাজী আলম। ডিপুটি কমান্ডার ছিলেন আব্দুস সালাম। কিছুদিন কোয়ার্টার মাস্টারের দায়িত্বে ছিলাম।”
কোথায় কোথায় অপারেশন করেছেন?
“আমরা ছিলাম গেরিলা। ‘হিট অ্যান্ড রান’ ছিল নিয়ম। ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করি নেত্রকোণার মদন, কেন্দুয়া এবং কিশোরগঞ্জের আঠারবাড়ি, বলাইশিমুল, কাওরাট এবং তারাইলের দরিজাহাঙ্গীরপুর, শৈলাহাটি, ধলা প্রভৃতি এলাকায়। অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে রণক্ষেত্র থেকেও যেমন পালাতে দেখেছি আবার অনেক সহযোদ্ধার মৃত্যুযন্ত্রণাও দেখেছি খুব কাছ থেকে। একাত্তরে রাজাকাররা কত অত্যাচার করেছে সেটা না দেখলে বুঝতে পারবেন না। এ দেশটা তো এমনি এমনি স্বাধীন হয়নি!
এক অপারেশনের কথা শুনি মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হেলালের জবানিতে:
“ডিসেম্বর ৩ তারিখের ঘটনা। কিশোরগঞ্জ থেকে পাকিস্তানি সেনারা আসছে। খবর পেয়ে ওদের ঠেকাতে তারাইল বাজারের পাশে আমরা ফলিং করলাম। ওরা চার কিলোমিটার দূরে। জ্বালিয়ে দেওয়া বাড়িঘরের ধোঁয়া উড়ছে। কাছাকাছি আসতেই ফায়ার ওপেন করি। আইয়ুব আলী এলএমজি-ম্যান আর আমি এসএলআর চালাই। সামনে পুতিগাঙ্গ। ওরা ৬০ থেকে ৭০ জন। লাইন ধরে এগোচ্ছে। ওদের চাইনিজ রাইফেল গর্জে উঠলে আমার টিকতে পারি না। তবু গুলি চালাই। একসময় পেছনে চাইয়া দেখি আমাদের একজনও নাই। সবাই যে সরে গেছে টেরও পাইনি। পরে আমিও ক্রলিং করে শৈলাহাটি চলে আসি। সেদিন মিনিট বিশেক এদিক-ওদিক হলেই মারা পড়তে হত। জীবনটা কবরে রেখেই একাত্তরে যুদ্ধ করতে হইছে।’
দেশ স্বাধীনের পর কিশোরগঞ্জ এসডিওর অফিসে অস্ত্র জমা দেন মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হেলাল। অতঃপর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকেই তিনি আবার মাঠে নামেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শুরু করেন দেশ গড়ার আরেক যুদ্ধ। গ্রামের সাধারণ মানুষকে নিয়ে মাটি কেটে রাস্তা, খাল তৈরি করা, রাস্তার পাশে শাকসবজি লাগানো ও মাছ চাষের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরিতে উৎসাহিত করা, দরিদ্র মানুষকে স্যালো-মেশিন কিনে দেওয়ার মতো সামাজিক কাজে যুক্ত থাকেন।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু তখন চেষ্টা করেছেন দেশটাকে দাঁড় করাতে। কিন্তু বড় বড় নেতা ও অনেক মুক্তিযোদ্ধারাও কিন্তু তাঁর পাশে ছিলেন না। তাঁরা শুধু নিজের স্বার্থ আর তেল মারাতেই ব্যস্ত ছিলেন। সেলফহেলফটা পছন্দ করতাম। আমি মনে করি, দেশের জন্য একজন মুক্তিযোদ্ধার লড়াইটাও সারা জীবনের।”
যে দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করলেন স্বপ্নের সে দেশ কি পেয়েছেন?
খানিকটা নীরব থেকে এই যোদ্ধা বলেন, “দেশ পেয়েছি কিন্তু স্বপ্নটা তো বাস্তব হয়নি। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তো বেড়েই চলেছে। বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা কই? এখন দেখেন নেতারা দামি দামি গাড়িতে চড়ে, আলিশান বাড়িতে থাকেন। একটু ব্যাথা পেলেই ট্রিটমেন্টের জন্য ছোটেন সিঙ্গাপুরের দিকে। এই নেতারা কেমনে দেশ সেবা করবে বলেন?
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রসঙ্গে এই যোদ্ধা অকপটে তুলে ধরেন নিজের মতামত। তাঁর ভাষায়:
“আমার এলাকায় ১৯৭১ সালের পর ১১৭ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা ছিল। এখন ভাতা তোলে দুইশর ওপরে। থানায় থানায় কমান্ডাররা এই আকামডা করছে। মুক্তিযোদ্ধা হইতে হলে আরও দুইজন মুক্তিযোদ্ধার রিকমেন্ড লাগে। ওরা তো কিছু টাকা পাইছে আর নাম ঢুকাইছে। চোরগুলোর কারণেই আজ এ অবস্থা। যাচাই-বাছাই সঠিকভাবে হওয়া দরকার। কিন্তু আপনি নিজেই যদি অসৎ হন তাহলে সঠিক তালিকা কীভাবে হবে?”
দেশ কেমন চলছে?
“শেখের মেয়ে তো ‘আয়রনম্যান’। তাই দেশটাকে ভালোই এগিয়ে নিতে পারছেন। তবে নেতাদেরও তাঁর মতো হওয়া দরকার। শুধু বিদেশি রিজার্ভ আর গার্মেন্টসের উপর ভর করলেই হবে না। কৃষিতে নজর আরও বাড়াতে হবে। দেশীয় উৎপাদনের ওপর নির্ভরতা গড়তে হবে।”
স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভালোলাগার অনুভূতি জানতে চাই আমরা। উত্তরে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন:
“বিভিন্ন দিবসে সারা বাংলায় যখন লাল-সবুজের পতাকা উড়ে, এ দেশের ছেলেমেয়েরা কাজের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে যখন দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তখন আনন্দে বুক ভরে যায়।”
খারাপ লাগে কখন?
“যখন শুনি এমপিরা যুবকদের চাকরি দিচ্ছেন টাকার বিনিময়ে, যখন দেখি আজ এমপি তো কাল সে কোটিপতি বনে গেছেন, ছাত্র রাজনীতিতে ক্ষমতাশীল দলের ছাত্রনেতাও লক্ষ টাকার মালিক হচ্ছেন, তখন সত্যি খুব কষ্ট লাগে। দেশ ও মানুষকে বেঁচে টাকা কামানোর জন্য তো দেশটা স্বাধীন হয়নি!”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশের ইতিহাস যেমন দায়মুক্ত হয়েছে ঠিক তেমনি সব সমস্যা পেছনে ফেলে একদিন নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই দেশটা সত্যিকারের সোনার বাংলা হবে– এমন স্বপ্নে বিভোর হন মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হেলাল। জীবনের এই ক্লান্তিলগ্নে বুকভরা আশা আর চোখেমুখে আলো ছড়িয়ে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি শুধু বললেন:
“আমরা দেশটা স্বাধীন করেছি। তোমাদের দায়িত্ব সে স্বাধীনতাটা রক্ষা করা। না খেয়ে থাকলেও দেশের ক্ষতি করো না। কারণ দেশটা মায়ের মতন। মাকে কষ্ট দিয়ে তুমি কখনই বড় মানুষ হতে পারবে না।”
লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে, প্রকাশকাল : ১ মার্চ ২০১৭
© 2017 – 2018, https:.