মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধের সরকার থাকলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা পাবে

‘‘৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১। আমরা তখন বিজয়নগর গ্রামে। ১৩ জনের গেরিলা দল। আমি কমান্ডার। খুব কাছেই যশোরের খোঁজারহাট বাজার। বিকেলের দিকে খবর পেলাম, সেখানে সাত-আটজন পাঞ্জাবি সৈন্য এসেছে। সবার কাছে অস্ত্র। গ্রামের সাধারণ মানুষের বেশ ধরে আমরা কজন সেখানে যাই। ভাঙা ভাঙা উর্দুতে কথা বলে তাদের সঙ্গে ভাব জমাই। অল্প সময়ে তারা আমাদের অন্তরঙ্গ হয়ে গেল। ওরা ছিল বেশ ক্ষুধার্ত। আমরাও সুযোগটি নিলাম।’’

‘‘একটি স্কুলের বারান্দাতে ওদের বসানো হল। পাশেই চলল রান্নার আয়োজন। ওদের সামনে জবাই করা হল খাসি। পাঞ্জাবি আর্মিরা বেশ খুশি। ওদের প্রত্যেকের কাছে ছিল রাইফেল। খাবার দেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে কৌশলে আমরা অস্ত্রগুলো খানিকটা দূরে সরিয়ে রাখলাম। সংকেত দিতেই আমাদের দলের বাকি গেরিলারা চারপাশ থেকে ওদের ঘিরে ফেলে। আমাদের কৌশলের কাছে ওরাও বোকা বনে যায়। নিরস্ত্র অবস্থায় ধরা দেয় সবাই।’’

‘‘কিন্তু তাদের কাছে যে গ্রেনেড থাকতে পারে, সে কথা আমাদের চিন্তায় ছিল না। হঠ্যাৎ একজন তার সঙ্গে থাকা গ্রেনেডের চাবি দিল খুলে। আমাদের দিকে গ্রেনেডটি ছুঁড়ে দিবে, এমন সময় সবাই গুলি ছুঁড়ল ওর দিকে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেনেড হাতে পাঞ্জাবি সৈন্যটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ল।’’

‘‘সময় মাত্র সাত সেকেন্ড। এর পরই ঘটবে বিস্ফোরণ। আমরা সরে পড়তে চেষ্টা করলাম। কেউ কেউ সরেও পড়ল। কিন্তু তার আগেই বিস্ফোরিত হল গ্রেনেডটি। সঙ্গে সঙ্গে একটি স্প্লিন্টার এসে বিদ্ধ হল আমার কপালে। চোখ দুটো তখন ঝাপসা হয়ে আসে। লুটিয়ে পড়ি মাটিতে। চারপাশে শুধুই অন্ধকার। তারপর আর কিছু মনে পড়ে না।’’

  ‘‘দেশ স্বাধীন হয়। কিন্তু সে স্বাধীনতার আনন্দ-স্বাদ আমি পাই না। পেছনের কথা মনে করার ক্ষমতা হরিয়ে ফেলি। প্রায় চার কী পাঁচ বছর আমি ছিলাম স্মৃতিভ্রষ্ট।’’

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তাঁর আহত হওয়ার ঘটনা এভাবেই বলছিলেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মতিউর রহমান। করিম বক্স মৃধা ও সোনাভান বিবির সাত সন্তানের মধ্যে মতিউর ছিলেন তৃতীয়। তাদের বাড়ি যশোরের কোতোয়ালি থানার নূরপুরে। গ্রামেই মতিউরের বেড়ে ওঠা। পড়াশুনা করেছেন মুসলিম একাডেমি স্কুলে। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন যশোর সিটি কলেজের ফোর্থ ইয়ারের ছাত্র।

ছোটবেলায় খুব দুরন্ত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মতিউর। বন্ধুদের সঙ্গে নানা কাজে বাজি ধরা, উঁচু জামগাছের মগডাল থেকে ঝুঁকি নিয়ে জাম পেড়ে নেওয়া, দলবেঁধে সিনেমা দেখতে যাওয়া আর বন্ধু নুর মোহাম্মদের রেলে সাইকেল চালানোতেই ছিল তাঁর আনন্দ।

১৯৬৯ সাল। উত্তপ্ত গোটা দেশ। মতিউর তখন যুক্ত হন ছাত্রলীগের সঙ্গে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন নেতা রবিউল আলম, টিপু সুলতান, আবদুল হাই প্রমুখ। মতিউর ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনেন রেডিওতে। তাঁর কাছে সেটি ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা। মনে মনে তখনই ঠিক করে ফেলেন, দেশের জন্য একদিন যুদ্ধ করতে হবে।

২৫ মার্চের কথা বললেন মতিউর:

‘‘যশোর শহরে সিনেমা হলে নাইট শো দেখছিলাম তখন। শো শেষ হয় ১২টায়। বাইরে বেরিয়ে কোথাও যানবাহন পেলাম না। আগে এমনটা কখনও হয়নি। গোটা শহর জনশূন্য। ক্যান্টনমেন্টের কাছে যেতেই দেখি আরিফপুর রোডে ব্যারাক থেকে বেরুচ্ছে পাকিস্তানি আর্মিদের গাড়িগুলো। সৈন্যরা সবাই ছিল অস্ত্র হাতে, যুদ্ধসাজে। আমরা তখন ভয় পেয়ে যাই। ভিন্ন পথে ফিরে আসি বাড়িতে।’’

যশোর ক্যান্টমেন্টের পাশেই বুড়ি ভৈরব নদী। নদীর ওপারে ছিল মতিউরদের গ্রাম। তাই যে কোনো সময় গ্রামে পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের ভয় ছিল। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পরিবারসহ মতিউররা আশ্রয় নেন কনেজপুর গ্রামে, এক বোনের বাড়িতে। সেখানে বন্ধু নিলু, মফিজ, আফিজুরসহ পরিকল্পনা করেন ট্রেনিংয়ের জন্য ভারতে যাওয়ার।

কিন্ত ভারতে যেতে হলে টাকা লাগবে, কোথায় মিলবে সেই টাকা? সবাই মিলে বুদ্ধি আঁটেন। প্রথমে তাঁরা নিজ নিজ গ্রামে ফিরে যান। এক বন্ধুর বাড়িতে পাওয়া যায় গরুর গাড়ির দুটি চাকা। সেগুলো বিক্রি করে ওঁরা পান সাড়ে তিন টাকা। এই টাকা আর দেশকে মুক্ত করার স্বপ্ন নিয়ে মতিউররা এক রাতে যাত্রা করেন ভারতের উদ্দেশে।

 মতিউরের ট্রেনিংএর পুরো বিবরণ শুনি তাঁর মুখে:

‘‘এপ্রিলের ১০ কিংবা ১২ তারিখ। রাতে যশোর সীমান্ত দিয়ে বয়রা বাজার হয়ে আসি বনগাঁর টালিখোলায়। সেখানে ট্রেনিংয়ের জন্য নাম লিখানোর পর প্রথমে পেট্রোপোল এবং পরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিহারের চাকুলিয়ায়। সেখানেই ক্যাম্প তৈরি করে আমাদের সশস্ত্র ট্রেনিং দেওয়া হয়। ভারতীয় সেনাবহিনীর জাকরিব রেজিমেন্টের অধীনে আমাদের ট্রেনিং হয় ৪০ দিন। এফএফ নম্বর ৩২১৮।’’

মুক্তিযোদ্ধা মতিউরের সনদ

ট্রেনিং শেষে মতিউরদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বয়রা ক্যাম্পে। এটি ছিল ৮ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর। দায়িত্বে ছিলেন কর্ণেল হুদা। গেরিলা হিসেবে মতিউররা যুদ্ধ করেন যশোরের চৌগাছিসহ বিভিন্ন এলাকায়।

গেরিলাদের অপারেশন সম্পর্কে তিনি জানান:

‘‘গেরিলাদের নির্দেশনা ছিল পাকিস্তানিদের যাতায়াতের রাস্তাগুলো ভেঙে দেওয়া, টেলিফোন লাইন বিকল করে ফেলা এবং রাস্তায় অ্যামবুস করে পাকিস্তানি সৈন্যদের ওপর আক্রমণ পরিচালনা। এসব কাজের জন্য তাদের পদ্ধতি ছিল, হিট অ্যান্ড রান।’

স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রসঙ্গে এ বীর মুক্তিযোদ্ধা অকপটে তুলে ধরেন নিজের মতামত। তাঁর ভাষায়:

‘‘একেক সরকারের সময় একেক পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আর সে সুযোগে বেড়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা। যারা মুক্তিযোদ্ধার ট্রেনিং নিয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই তালিকা ছিল। আমরা তখন ৬০ টাকা হারে ভাতা পেতাম। সেটি পে-রোলে দেওয়া হত। কে, কোন মাসের টাকা নিচ্ছি, সেটা সেখানে এট্রিও করা থাকত। এই পে-রোল যদি সংরক্ষণ করা হত তবে সহজেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নিরূপণ করা যেত। এছাড়া প্রত্যেক সেক্টর ও সাব-সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ছিল। প্রত্যেকের ছিল একটি এফএফ নম্বর। ইন্ডিয়ায় যাদের ট্রেনিং হয়েছে, তাদের তালিকাও রয়েছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের পর পরই এসব রেকর্ড সংগ্রহ করা হলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত তালিকা তৈরি করা যেত।’’

সামান্য মুচকি হেসে তিনি বলেন, ‘‘যত দিন নতুন তালিকা হতে থাকবে, তত দিন পর্যন্ত সংখ্যা শুধু বাড়তেই থাকবে।’’

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা কেন বাড়ে, এমন প্রশ্নের উত্তরে উদাহরণ টেনে মুক্তিযোদ্ধা মতিউর বলেন:

‘‘ধরুন, আমার এক আত্মীয় রাজাকার। স্বাধীনতার পর প্রেক্ষাপট গেছে পাল্টে। ওই আত্মীয়কে এখন আমি সাফাই দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দিয়েছি। অথচ যুদ্ধের সময় বাবা ছিল রাজাকার, ছেলে ছিল মুক্তিযোদ্ধা, এমন পরিস্থিতিতে দেশের জন্য ছেলে মেরে ফেলেছে বাবাকে সে ঘটনাও দেখেছি।’’

তিনি আফসোস করে বলেন–

‘‘মুক্তিযোদ্ধারা কিন্ত উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তান ছিলেন না। অধিকাংশই ছিলেন খেটে খাওয়া সাধারণ পরিবারের। ফলে স্বাধীনতার পর তালিকা নিয়ে এমন খেলা দেখে অনেক মুক্তিযোদ্ধাই আজ হতাশ।’’

সস্ত্রীক মতিউর রহমান

মুক্তিযোদ্ধাদের রাজনৈতিক দলে বিভক্ত হওয়া প্রসঙ্গে এই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বলেন:

‘‘মুক্তিযোদ্ধারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, এটা আমরা অন্তরে ধারণ করতে পারিনি। অভাবের কারণে আমাদেরও স্বভাব হয়েছে নষ্ট। মুক্তিযোদ্ধারা আজ নানা দলে বিভক্ত। স্বার্থের কারণে এখন এক মুক্তিযোদ্ধা অন্য মুক্তিযোদ্ধাকে বলছেন রাজাকার। অথচ একাত্তরে এরাই একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। এগুলো দেখলে মনটা খুবই খারাপ হয়ে যায়।’’

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তাঁর মত এ রকম:

‘‘আরও আগেই রাজাকারদের বিচারের উদ্যোগ নিলে তাদের এতটা দম্ভ হত না। আমাদের এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধী মুজাহিদ-নিজামীদের গাড়িতে দেশের পতাকা উড়ছে, ভাবলেই কষ্ট লাগে। ঘৃণার সঙ্গে সঙ্গে তখন মনে হয় জিয়াউর রহমানের কুকীর্তির কথা। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের মনের এই কষ্টের বোঝা নামিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি ছিলেন বলেই বাংলার মাটিতে রাজাকারদের বিচার হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের সরকার থাকলেই এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা পাবে।’’

স্বাধীন দেশে তাঁর ভালোলাগার অনুভূতির কথা জানতে চাই আমরা। উত্তরে মতিউর বলেন:

‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দেশকে বদলে দিয়েছে। সরকার একটি লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমার দেশের মেয়েরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চুড়ায় নিজের দেশের পতাকা উড়াচ্ছে। এই সব দেখলে তৃপ্ত হই। আনন্দে বুক ভরে যায়।’’

খারাপ লাগে কখন?

‘‘যখন দেখি পুলিশের হাতেই নিরীহ গরিব মানুষ পুড়ে মরছে, যখন দেখি রাজনীতি ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দুর্নীতিবাজরা জায়গা করে নিয়েছে, তখন স্বাধীনতার হিসাব মিলে না, সত্যি কষ্ট লাগে।’’

 মতিউর রহমান চাকুরি করতেন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে। বর্তমানে তিনি অবসরে। এক ছেলে এক মেয়ের জনক এই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা নিজের সন্তানদের পড়াশুনা করিয়ে সুশিক্ষিত করাই মূল কাজ বলে মনে করেন। যুদ্ধাহত ও অবসরকালীন ভাতা থেকে যা পান, তা দিয়েই চলছে তাঁর সংসার।

নতুন প্রজন্মের কথা উঠতেই এ যুদ্ধাহতের মুখে আশার আলো ফুটে। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন:

‘‘অনেক ত্যাগের বিনিময়েই কিন্তু আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক। বাকি কাজটা পরবর্তী প্রজম্মের। আমরা চেয়ে আছি তোমাদের পানে। তোমরাই একদিন এই স্বাধীন দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করবে। মনে রাখবে, দেশ এখন স্বাধীন হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার লড়াই করতে হবে আরও বহু বছর।’’

লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে, প্রকাশকাল : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

© 2017 – 2018, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button