কার্যচিত্র
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রুহেল আহমেদ বাবু
আবেদন করে সনদ নিতে চান না এই মুক্তিযোদ্ধা। তাই মুক্তিযুদ্ধো সনদ নেই তার। নেন না কোন ভাতাও। অথচ দেশের নানা ইস্যুতে সক্রিয় থাকেন তিনি। এখন যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ডেংগুর বিরুদ্ধে। তরুণ ও যুবদের নিয়ে ধানমন্ডি এলাকায় ডেংগুর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে গড়ে তুলেছেন ‘ডেংগু স্কোয়াড’। সবারই চেনা মুখ তিনি। বাবু ভাই। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রুহেল আহমেদ বাবু। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেন চার নম্বর সেক্টরে। কুকিতল সাবসেক্টরের কামন্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ করেন বড়লেখা, ছোটলেখা, জুড়ি, দিলখুস, লাটিটিলা, সোনারুপা, বিয়ানীবাজার প্রভৃতি এলাকায়। এক অপারেশনে পাকিস্তানি সেনাদের সাবমেশিনগানের তিনটি গুলি লাগে তার বাঁ পায়ের গোড়ালির উপরে। একাত্তরে ছিলেন বুয়েটের ছাত্র। ২৫ মার্চ রাতে কলাবাগানের রাস্তায় গাছ কেটে ব্যারিকেড দিয়ে বাঁধার সৃষ্টি করেন তিনিসহ একটি গ্রুপ। ওই রাতেই পাকিস্তানি সেনারা কলাবাগানের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করে তাদের সহযোদ্ধা বন্ধু খোকনকে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এমন অসংখ্য ঘটনার কথা এই বীর তুলে ধরেন চারঘন্টার আলাপচারিতায়। নানা বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বললেও মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবনইতিহাস তুলে ধরা এটাই প্রথম। তার বলা সেই ইতিহাস প্রকাশিত হবে খুব শীঘ্রই। শ্রদ্ধা রইল এই বীরের প্রতি।
© 2019, https:.