কার্যচিত্র

বীরপ্রতীক ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের সঙ্গে

ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল। নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের মাননীয় সাংসদ। কিন্তু তার চেয়েও বড় পরিচয় তিনি বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের কাছে উনি বেলাল কাকা।

অন্য ভাইরা যখন বামপন্থী ধ্যানধারণায় উজ্জীবিত তখন তিনি ও ইমিডিয়েট বড় ভাই বাহার ছিলেন ব্যাতিক্রম। ঢাকায় বড়  ভাইয়ের কাছে থাকতেন । মোহাম্মদপুর গভমেন্ট স্কুলের ভিপি ছিলেন। দশমশ্রণিতে থাকাকালিন গ্রেফতারও হন। পরে তাকে বের করে আনেন শেখ কামাল। ছাত্রলীগ করতেন। একাত্তরে ছিলেন নারায়গঞ্জ তোলারাম কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।সেখানে প্রতিরোধ যুদ্ধেও অংশ নেন তিনি। পরে চলে আসেন নিজ গ্রাম নেত্রকোণার কাজলায়। একাত্তরে ভারতের তুরা ক্যাম্প থেকে হায়ার ট্রেনিং ও এক্সপ্লোসিভের ওপর বিশেষ ট্রেনিং গ্রহণ করেন এই বীর। অতঃপর বাহার নেতৃত্বে একটি গ্রুপের টুয়াইসি হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হালুয়াঘাট এলাকায় দুর্ধর্ষ সব অপারশন করেন। সহযোদ্ধাদের মৃত্যযন্ত্রণা খুব কাছ থেকে দেখেছেন এ বীরপ্রতীক। সে সব স্মৃতি মনে করে আজও অশ্রুসিক্ত হন। এগার নম্বর সেক্টর গঠিত হলে তিনি চলে যান মহেন্দ্রগঞ্জ। বড় ভাই কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে একাধিক অপারশনেও অংশ নেন।কয়েকদিনে প্রায় ছয়-সাত ঘন্টার আলাপচারিতায় এই সূর্যসন্তান কথা বলেন একাত্তর ও স্বপ্নের বাংলাদেশ নিয়ে। তাঁর বলা অজানা সব তথ্যগুলো ইতিহাসের অকাট্য দলিল হয়েই থাকবে।

© 2020, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button