বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কোম্পানি কমান্ডার মো. তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কোম্পানি কমান্ডার মো. তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া। বয়স ৭৩ বছর। একাত্তরে ছিলেন টাঙ্গাইলের মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের ডিগ্রী ফোর্থ ইয়ারের ছাত্র। রাজনীতিতে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারী ছিলেন। পঁচিশ মার্চের পর টাঙ্গাইলে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন। পরবর্তীতে গোপনে গ্রামে গ্রামে ঘুরে যুবকদের যুদ্ধে যেতে উৎসাহিত করতে থাকেন। এভাবে একত্রিত করেন প্রায় পাঁচশ যুবক। অতঃপর মায়ের দেওয়া টাকায় দুটি বড় গুনটানা নৌকা ভাড়া করে যমুনা দিয়ে সবাইকে নিয়ে চলে যান ভারতের মাইনকারচরে। নদী পথের সে যাত্রায় পাকিস্তানি সেনাদের মুখোমুখি হতে হয় তাঁদের। মৃত্যুঝুঁকিও ছিল। সেসব ঘটনা শুনলে আজও শিহরিত হতে হয়। ভারত থেকে হায়ার ট্রেনিং শেষে মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল তাঁর কোম্পানি নিয়ে ভুয়াপুর ও এলেঙ্গা হয়ে টাঙ্গাইল শহর দখলে নেন। ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১। ভারতীয় প্যারা বিগ্রেডের নয়জন সদস্য শহিদ হন এলেঙ্গায়। তাঁদের চিতা দাহ করাসহ গার্ড অব অনারে অংশ নিয়েছিলেন এই যোদ্ধা। তাই তাঁর দাবী সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপনের। এ বীর অসংখ্য গেরিলা অপারেশন পরিচালনা করেন। যুদ্ধদিনের সেসব ইতিহাস তিনি তুলে ধরেন প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার আলাপচারিতায়। মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার রসুলপুর গ্রামে তার মুখোমুখি হই। বীর যোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়ার একাত্তরের স্মৃতিকথাই আমাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের অকাট্য দলিল ।
© 2020, https:.