বীরপ্রতীক আনোয়ার হোসেন-এর সঙ্গে
বীরপ্রতীক আনোয়ার হোসেন। একাত্তরে পাকিস্তানের কুখ্যাত গভর্নর মোনায়েম খানকে বাড়িতে ঢুকে স্টেনগান দিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বীরপ্রতীক মোজাম্মেল হকও। তিনি হ্যান্ড গ্রেনেড ও ফসফরাস বোমা চার্জ করেছিলেন। পাকিস্তানি সেনা ও পুলিশের পাহারার মধ্যেই ১৩ অক্টোবর বনানী কবরস্থানসংলগ্ন মোনায়েম খানের বাড়িতে তারা ঘটান ঘটনাটি। ফলে সারাবিশ্বে পৌঁছে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের সে খবর।
ক্যাপ্টেন এ টি এম হায়দারের নির্দেশেই মোনায়েম খানের ওপর আক্রমণ করেন তারা। তাদের এ বীরত্বের পেছনে মোনায়েম খানের বাড়ির দুজন কাজের লোক শাহজাহান ও মোখলেসের অবদানের কথা অকপটে তুলে ধরেন তিনি। পরবর্তীতে শাহজাহান মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেও মোখলেসের ভাগ্যে জোটেনি সে সম্মান। শাহজাহান এখন প্রয়াত। আর মোখলেসের স্বীকৃতিহীন জীবন কাটছে কুমিল্লাতে। এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন বীরপ্রতীক আনোয়ার। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন তিতুমীর কলেজের ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের ছাত্র। ছাত্রলীগ করতেন, যুক্ত ছিলেন আন্দোলন সংগ্রামেও। একাত্তরে ভারতের মতিনগর ও পরে মেলাঘর থেকে হায়ার ট্রেনিং শেষে মুক্তিযুদ্ধ করেন ঢাকায়, বৃহত্তর তেজগাঁও অঞ্চলে। মোনায়েম খানকে হত্যার আদ্যোপান্তসহ ঢাকার গেরিলাদের হাইডআউট ক্যাম্প, অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, সাধারণ মানুষের সহযোগিতা, রাজাকারদের হত্যাকরাসহ একাত্তরের নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ১৫ মে ২০২২ তারিখে এই বীরের মুখোমুখি হই। অজানা ইতিহাসের ঘটনাগুলো উঠে আসে আমাদের তিন ঘন্টার আলাপচারিতায়। অকপটে তিনি বলেন স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও। তার বলা সকল কথা প্রজন্মের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে। এই বীরপ্রতীকের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা।
#সালেকখোকন #মুক্তিযুদ্ধ #মুক্তিযোদ্ধা #বঙ্গবন্ধু #স্বাধীনতা
© 2022, https:.