আলোকচিত্রকার্যচিত্র
সাবসেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন বেগের সঙ্গে
ক্যাপ্টেন মাহফুজ আলম বেগের জীবন কাটছে প্রায় নিভৃতে। ১৮ জুলাই ২০২২ তারিখ হাজির হয়েছিলাম সাভারের পুলিশ টাউনে, তার ভাড়া বাড়িতে। একাত্তরে প্রথমে তিনি নয় নম্বর সেক্টরের অপারেশনাল কমান্ডার এবং পরে শমশেরনগর সাবসেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। সমগ্র সাতক্ষীরা অঞ্চলে গেরিলা, সম্মুখ ও নৌকমান্ডো যুদ্ধসমূহ পরিচালনা করেন তিনি। অথচ এখন এই স্বাধীন দেশে কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পান না। বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী বা কোন বাহিনীর শুভেচ্ছা পত্রও পৌঁছায় না তার কাছে। ঢাকায় বহু মুক্তিযোদ্ধার একাধিক সরকারি জমি বা সুবিধা লাভের খবর আমাদের কাছে রয়েছে। কিন্তু ক্যাপ্টেন বেগের মতো একজন সাবসেক্টর কমান্ডারকে দেওয়া হয়নি তেমন কোনো সুবিধাই! এসব নিয়ে কোনো আফসোস বা অভিযোগ নেই ক্যাপ্টেন বেগের। আলাপচারিতায় শুধু বললেন, ‘আপনার মতো দুএকজন আসলে তখন মনে পড়ে মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম।’ কথাটি শুনেই লজ্জিত হয়েছি। স্বাধীন দেশে এটাই কি তার প্রাপ্য ছিল!
১৫ অগাস্ট ১৯৭৫। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। আগে থেকেই খন্দকার মোশতাকের ক্ষোভ ছিল বেগের প্রতি। তিনি বলেছিলেন– ‘জীবিত বা মৃত বেগকে চাই।’
© 2022, https:.