হিন্দু হলে লেখা থাকত ‘এইচ’ আর মুসলমান হলে ‘এম’
“সহযোদ্ধাসহ সবার গলায় একটা টোকেন ঝোলানো থাকত। হিন্দু হলে লেখা থাকত ‘এইচ’ আর মুসলমান হলে ‘এম’। আর ছিল বডি নম্বর। ওগুলো দিয়েই নিহত সহযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতাম আমরা।”
“আমাদের পরিবারটা ছিল বড়। সাত ভাই ও এক বোনের সংসার, আমি তৃতীয়। বাবা ছিলেন কৃষক। জমিজমাও ছিল অনেক। অভাব বলতে কিছুই ছিল না। মা-বাবা দুজনই খুব আদর করতেন। ছোটবেলায় বেশ শান্ত ছিলাম। তবে গ্রামের এপাড়া থেকে ওপাড়ায় ছুটে বেড়াতাম। বন্ধুদের সঙ্গে হাডুডু, দাড়িয়াবান্দা ও গোল্লাছুট খেলেই সময় কাটত। ব্রহ্মপুত্রে সাঁতার কাটা আর মাছ ধরাতেই ছিল অন্যরকম আনন্দ।
স্কুলের শিক্ষকরা তখন দায়িত্বশীল ছিলেন। ক্লাসেই সব পড়াতেন। কোচিং আর টিউশনি বলতে কিছু ছিল না। চুরখাই হাই স্কুলে ছিলেন সতীন্দ্র স্যার। খুব আদর করে ছাত্রদের পড়াতেন তিনি। বইয়ের সংখ্যাও তখন কম ছিল। এখন তো অনেক বই। বইয়ের ভারই বইতে পারে না শিশুরা।
ভালো ছাত্ররাই তখন রাজনীতি করত। নেতাদের মানসিকতাও ভালো ছিল। মানুষের জন্য মন কাঁদত তাদের। এখন নেতাদের কোনো গুণ দেখি না। গুণ ছাড়াই নেতা সব। নেতা হলেই কেমনে যেন টাকা হয়ে যায়। ওই টাকার উৎস কোথায়? আমার তো মাথায় আসে না। এসব বললেই তাদের খারাপ লাগবে। তাই কথা বলাও এখন বন্ধ করে দিয়েছি।”
নিজের জীবনের নানা ঘটনা এভাবেই তুলে ধরেন বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত নায়েক সুবেদার হায়দার আলী। বয়স তার বিরাশি। তবুও একাত্তরের স্মৃতি এখনও জীবন্ত। এক সকালে তার বাড়িতে বসেই আলাপ হয় একাত্তরের নানা বিষয়ে।
বাবার নাম জবেদ আলী ফকির আর মা হাজেরা খাতুন। বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার শ্রীপুর মাইজহাটিতে। লেখাপড়া করেছেন নবম শ্রেণি পর্যন্ত। প্রথমে চুরখাই প্রাইমারি স্কুলে এবং পরে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন চুরখাই হাইস্কুলে।
এরপরই তিনি যোগ দেন ইপিআর বাহিনিতে। তার ভাষায়, “ইপিআরে লোক নেবে লোকমুখে শুনেছি। ওরা চোঙা দিয়ে হাটে হাটে অ্যানাউন্স করছে। মাইক তখন ছিল না। আব্বাকে জানাতেই তিনি বলেন, ‘তুমি পড়বা নাকি চাকরি করবা’। বললাম, চাকরি পাইলে করমু। একদিন সকালে চুরখাই হাইস্কুলের সামনেই লাইন ধরে সবাই দাঁড়ায়। আমিও দাঁড়াই।
উচ্চতা, বুকের মাপ, স্বাস্থ্য দেখছে সবার। সব কিছুতেই টিকে যাই। বিগ্রেডিয়ার তুরগুল ছিলেন দায়িত্বে। মুক্তাগাছা থেকে ১৯ জনকে বাছাই করে ওরা। এরপর নিয়ে যায় ঢাকায়, পিলখানায়। সেখানেই ট্রেনিং হয় বারো মাস। আর্মিদের তত্ত্বাবধানে হয় কঠিন ট্রেনিং।
সিপাহি হিসেবে ইপিআর-এ যোগ দিই ১৯৬৪ সালে। ইপিআর নম্বর ছিল-১৩৭৪২। ট্রেনিং শেষে আমাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিলেটের তেলিয়াপাড়া বর্ডারে। বর্ডার এলাকা রক্ষণাবেক্ষণ আর চোরাচালান রোধ করাই ছিল মূল কাজ। পাকিস্তানি অফিসাররা থাকত কমান্ডে।”
দেশে তখন বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন চলছে। ইপিআর-এর বাঙালি সিপাহিরা তখন কী করতেন?
হায়দার আলী বললেন যেভাবে, “নানা সময়ে ট্রেনিংয়ে ডাকা হতো। তখন আসতাম পিলখানায়। সেখানে নায়েক সুবেদার ও সুবেদররা সবাই ছিল পাঠান-পাঞ্জাবি। বাঙালি ছিল খুব কম। আমরা গোপনীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন নিয়ে নিজেদের ভেতর আলোচনা করতাম। একবার আন্দোলন নিয়ে আলাপ করায় তিনজন বাঙালিকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের কঠিন সাজাসহ চাকরি চলে গিয়েছিল। বাঙালিদের চাপের মধ্যে রাখত ওরা।
ফরিদপুরের লোক জানলেই সন্দেহের চোখে দেখত। কারণ বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ওইদিকে। তাদের কোনো ভুল পেলেই সাজা দিত। এসব কারণে ভয়ে অনেকেই মুখ খুলত না। চার-পাঁচজন একত্র হওয়াই যেত না। সিকিউরিটি ছিল খুব। গোয়েন্দারা লেগে থাকত। একবার মোস্তফা, কামাল, আব্বাস এদের কঠিন সাজা দিয়েছিল। এসব ঘটনা আমাদের মানে ঝড় তুলত।”
সত্তরের নির্বাচনের সময় হায়দার আলী ছিলেন কুমিল্লায়, নয়নপুর ইপিআর ক্যাম্পে। নির্বাচনে তার ডিউটি দেওয়া হয় নয়নপুর হাইস্কুলে। সেখানেও মানুষ একচেটিয়া ভোট দিয়েছে শেখ মুজিবকে। নির্বাচনে সারাদেশে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করলেও ক্ষমতা দেয় না পাকিস্তান সরকার। ফলে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। ব্যারাকের ভেতরের অবস্থাও তখন বদলে যেতে থাকে।
বাঙালি সিপাহিদেরকে পাঠান, পাঞ্জাবি, বেলুচরা নানারকম কটুক্তি করত। হায়দারদের সংঘবদ্ধ হতে দিত না তারা। ছোট ছোট গ্রুপগুলোতে পাঁচজনই থাকত পাঠান বা পাঞ্জাবি আর দুইজন ছিল বাঙালি। এভাবেই ওরা দায়িত্ব ভাগ করে দিত। একাত্তরের ২৫ মার্চে তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা বিওপিতে।
তার ভাষায়, “আমরা হাতিয়ার নিয়ে আগেই প্রস্তুত ছিলাম। ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিল একজন পাঠান ও একজন হাবিলদার। এরশাদ, খোরশেদ, বারী, সুলতান আহমেদসহ আমরা ২৪ জন বাঙালি সিপাহি বের হয়ে আসি। কসবা থেকে শালবন হয়ে চলে যাই ভারতে, বিএসএফ ক্যাম্পে।
তারা আমাদের উন্নত অস্ত্র দেয়। ওখান থেকে পাই এসএমসি, এলএসজি, স্টেনগান, রকেট লঞ্চার। এর পরই ১০ জন করে গ্রুপ করি। আমার গ্রুপের কমান্ডার ছিলেন আবদুল রহিম। আমরা বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশের ভেতর ঢুকে অপারেশন করতাম। পাকিস্তানিরা তখন শেল মারত। এক ফুট ওপরে উঠে শেলগুলো মারাত্মকভাবে বার্স্ট হয়। জীবন বাঁচাতে তখন সরে আসি ভারতের ভেতর। এরপর ধীরে ধীরে আমাদের কোম্পানি করে দেওয়া হয়।
৩ নম্বর সেক্টর ছিল ওটা। মেজর কে এম শফিউল্লাহ সাহেব ছিলেন কমান্ডে। ছোট ছোট দল করে একেক দিকে অপারেশন করি। কসবা ভুরুংগামারী ক্যাম্পে ছিলাম আমরা। অপারেশন চলত মুখোমুখি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ই নায়েক সুবেদার হই, তখন নম্বর ছিল-২৬৫১। সম্মুখযুদ্ধ করেছি আখউড়া, শাহবাজপুর ব্রিজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, তেলিয়াপাড়া প্রভৃতি এলাকায়।”
একটি অপারেশনের কথা শুনি এই বীরবিক্রমের মুখে। তার ভাষায়, “১৪ অগাস্ট ১৯৭১। শেষ রাতের ঘটনা। তেলিয়াপাড়ার চা-বাগানে অন্ধকারে খালি চোখে দূরের কিছু দেখা যায় না। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। চা বাগানের ভেতরে আমাদের ক্যাম্প। সবাই পরিশ্রান্ত। ক্যাম্পে ঘুমিয়ে আছে। কয়েকজন সহযোদ্ধা পাহারা দিচ্ছেন।
এমন সময় গোলাগুলির শব্দ। পাকিস্তানি সেনারা আকস্মিক আক্রমণ করে। সবাই হতচকিত। যে যেভাবে পারে দ্রুত অবস্থান নিয়ে আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করি। কিন্তু পাকিস্তারা বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়তে থাকে। তখন আমরা পেছনে সরে যাই। কিন্তু তার আগেই আমাদের ১৪ জন সহযোদ্ধা শহীদ হন।
নিরাপদ অবস্থানে সরে যাওয়ার পরে সেখানে আসেন আমাদের অধিনায়ক শফিউল্লাহ সাহেব। তিনি নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আমাদের ১৪ জনকে মেরেছে, আমি ওদের চারগুণ মৃত্যু দেখতে চাই’। অধিনায়কের কথা শুনে আমরাও উদ্দীপ্ত হই। আরও শক্তি সঞ্চয় করে পরদিন ভোরেই পাকিস্তানি সেনাদের ওপর আক্রমণ চালাই। গার্ডেনের বিভিন্ন জায়গায় ওরা ছিল তিন ব্যাটেলিয়ন। আমরা ছিলাম দুই ব্যাটেলিয়ন। শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। আমি চালাতাম এলএমজি। সঙ্গে ছিলেন হাবিলদার কুদরত আলী, নায়েক বরকত আলী ও নায়েক সুবেদার ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
একটি টিলার ওপর পাকিস্তানি সেনাদের মেশিনগান পোস্ট। তারা সেখান থেকে গুলি করছে। ফলে আমরা এগোতে পারি না। তখন পাহাড়ি নালার মধ্য দিয়ে ক্রল করে একাই ওদিকে এগোই। সেনাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মেশিনগান পোস্টে দুটি গ্রেনেড চার্জ করি। ফলে সেখান থেকে গুলি বন্ধ হয়ে যায়। চার পাকিস্তানি সেনা সেখানেই আহত অবস্থায় পড়েছিল। পরে এসএমজির গুলিতে তাদের শেষ করে দিই। এর ফলে আমরা খুব সহজে ক্যাম্পটিকে পুনর্দখল করি।”
আরেকটি অপারেশনের কথা তিনি বললেন এভাবে, “আমি ছিলাম ডিফেন্সের গ্রুপে, দুই নম্বর প্ল্যাটুনে। কোম্পানি কমান্ডার ক্যাপ্টেন আবদুল মতিন। তার কমান্ডে অগ্রসর হই। তখন আমাদের সঙ্গে ভারতীয় আর্মি ছিল ২০ জন। আমরা ছিলাম ২০ জন। অপারেশনে ৪০ জনই একসঙ্গে বের হতাম।
তেলিয়াপাড়ায় ঢুকছি। সবার ফ্রন্টে আমি। দেখি দূরে ওত পেতে আছে পাঞ্জাবিরা। ওদের দেখে ফেলি। তখনই ছোট্ট একটা পুকুরের পাশ থেকে এলএমজি ফায়ার করে ওদের তিনটা এলএমজিকে উড়িয়ে দেই। আমাদের সবাই তখন বিভিন্ন জায়গায় পজিশন নিয়ে গোলাগুলি শুরু করে। সংকেত না দিলে হয়তো কেউ বাঁচত না। এমন সাহসিকতার জন্য ইন্ডিয়ান আর্মির লোকজন আমাকে জড়িয়ে ধরে, পুরস্কারস্বরূপ একদিন ছুটিও পাই। খুব আনন্দ লেগেছে ওইদিন।
অগাস্ট মাসের আরেকটি ঘটনা। শাহবাজপুর ব্রিজে পাকিস্তানিরা দক্ষিণ সাউডে, আমরা ছিলাম পশ্চিম সাইডে। ওরা ব্রিজের ওপর দিয়ে এপারে আসতে চায়। আমরা তখন অ্যান্টি ট্যাংক মাইন দিয়ে ব্রিজটা উড়িয়ে দেই। ফলে ওরা আসতে পারে না এবং অনেক হতাহতও হয়। সহযোদ্ধাসহ সবার গলায় একটা টোকেন ঝোলানো থাকত। হিন্দু হলে লেখা থাকত ‘এইচ’ আর মুসলমান হলে ‘এম’। আর ছিল বডি নম্বর। ওগুলো দিয়েই নিহত সহযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতাম আমরা।”
স্বাধীনতা লাভের পর হায়দার আলী প্রথমে যোগ দেন বিডিআর বাহিনিতে। পরে চলে যান সেনাবহিনিতে, টু বেঙ্গলে। সর্বশেষ ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে ১৯৯২ সালের ১২ অগাস্ট অবসরে যান।
কথা ওঠে মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের অবদান প্রসঙ্গে। এই বীরবিক্রম অকপটে বলেন, “তারা সাহায্য না করলে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতেই পারতাম না। খাদ্য দিছে, গোলাবারুদ এগিয়ে দিছে গ্রামের সাধারণ মানুষরাই। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করছে এমন খবর পেলে পাঞ্জাবিরা তাদের অস্তিত্ব রাখত না। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিত, গুলি করে মারত। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আমাদের সাহায্য করেছে তারা।”
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বললেন যেভাবে, “এ তালিকায় দুর্নীতি ঢুকে গেছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা কমার পরিবর্তে বেড়েছে। এর জন্য দায়ী মুক্তিযোদ্ধারাই। কারণ নিয়ম মোতাবেক তারা শনাক্ত না করলে তো নতুন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারত না। এগুলো বন্ধ না করলে এই তালিকা আমাদের জন্য লজ্জাজনক হবে।”
স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মন খারাপের অনুভূতি প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী। বলেন, “সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো দেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিক কিন্তু মানুষ তো স্বাধীন হয় নাই। মারামারি, কাটাকাটি, হানাহানি, হামলা, লুটতরাজ চলছেই। এসব তো আমরা চাইনি। সৎ লোকের মূল্যায়ন হয় না এদেশে। নীতিভ্রষ্ট লোকই স্বাধীন দেশ বেশি পেয়েছে। রাজনীতিবিদদের সৎ থাকা জরুরি ছিল।”
কী করলে দেশটা আরও এগোবে?
তিনি বলেন এভাবে, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠান করতে হবে। সৎভাবে কাজ করলে দেশ উন্নত হবে। এ যুগে অসৎ লোক সমাজে সম্মানিত হচ্ছে। ফলে কেউ তো সৎ থাকতে চাইবে না। এর ফলে অবৈধ কাজকর্ম বাড়ছে। টাকাপয়সা ছাড়া তো চাকরিও হয় না। এগুলো বন্ধ করতে হবে।”
দেশের উন্নয়ন ও সৎ মানুষ দেখলে ভালো লাগে এবং তৃপ্ত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী বীরবিক্রম। দেশটা আরও এগিয়ে যাবে এবং সঠিক পথেই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। কেননা লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন এই দেশ।
এই বীরবিক্রমের সকল আশা আগামী প্রজন্মকে ঘিরে। তাদের উদ্দেশে তিনি বললেন শেষ কথাগুলো, “তোমরা কথা ও কাজে সৎ থেক, দেশের উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে যুক্ত রেখ, আর ক্ষমতাশালী হলে দেশের দু-চারটা গরীব মানুষকে সাহায্য করো। দেশটাকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্বটা তোমাদের হাতেই দিয়ে গেলাম।”
লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে, প্রকাশকাল: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
© 2024, https:.