১৭৮০–১৭৮২ খ্রিস্টাব্দের কথা। এ সময়ে ইংরেজ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত দিনাজপুরের রাজ জমিদারির দেওয়ান ছিলেন দেবীসিংহ…
আদিবাসীরা কি এখানকার আদি বাসিন্দা? এমন প্রশ্নে কুদ্দুসের চোখ কপালে ওঠে। প্রগতিশীল সাংবাদিক সে। দিনাজপুর জেলায় খ্যাতি আছে ‘কবি সর্দার’ হিসেবেও। এ অঞ্চলের আদিবাসীদের পরম বন্ধু কুদ্দুস। তাকে নিয়ে রওনা হয়েছি ঢেরাপাটিয়ায়। গন্তব্য সেখানকার মুসহর পাড়া। চলতে চলতেই কথা চলে নানা বিষয় নিয়ে।
বাংলাদেশ ও ভারতের বেশির ভাগ মানুষের রক্তে আদিবাসীদের রক্ত মিশে আছে। কুদ্দুসের কথায় খানিকটা অবাক হই। মুচকি হেসে সে জানায়, কথাটি প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ড. নীহাররঞ্জন রায়ের। আদিবাসী বলতে মানবগোষ্ঠীর ক্ষুদ্র বৃহৎ অনগ্রসর আদিম সংস্কৃতিবিশিষ্ট গোষ্ঠীকে বুঝায়। ‘আদিবাসী’ শব্দটি যারা বলতে নারাজ, আদিবাসী নিয়ে তাদের জ্ঞান হয়তো খুবই সামান্য, নতুবা জেনেও মানতে নারাজ।
সাংবাদিক কুদ্দুস আক্ষেপ নিয়ে বলেন, অনেকেরই ধারণা আদিবাসীরা এদেশের ভূমিজ সন্তান নয়। তার মতে ভৌগলিক বিচারের মানদণ্ডে তাহলে অনেক বাঙালিও এ দেশের ভূমিজ সন্তান নয়। কারণ তারা ভারত কিংবা অন্য কোথাও থেকে হয় রাজনৈতিক চাপে পড়ে নতুবা রেওয়াজ বদলের মাধ্যমে বাংলার মাটিতে প্রবেশ করেছে।
নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিতে আদিবাসী পরিচয় নির্ণয়ে কারা আদি বাসিন্দা, কারা নন- সেটি মূখ্য বিষয় নয়। সাধারণত প্রাক-ঔপনিবেশিক সময় থেকে যারা যে এলাকায় বসবাস করে আসছেন, তারা সে এলাকার আদিবাসী হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং যাদের সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদের সর্ম্পক আছে, যাদের নিজেদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা আছে, যাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও বিশ্বাস আছে তারাই আদিবাসী।
মেহেরাব আলীর বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে কুদ্দুস জানান, দিনাজপুরসহ গোটা উত্তরবঙ্গে আদিবাসীদের আগমনের কিছু তথ্য। ১৭৮০-১৭৮২ খ্রিস্টাব্দের কথা। এ সময়ে ইংরেজ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত দিনাজপুরের রাজ জমিদারির দেওয়ান ছিলেন দেবীসিংহ। তিনি তার খেয়ালখুশিমতো ধার্যকৃত খাজনা আদায় করতে কৃষকদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালাতেন। ফলে সে সময় কৃষকদের আর্থিক মেরুদণ্ড প্রায় ভেঙে পড়ে। তখন গোটা উত্তরবঙ্গই কৃষকশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে অনাবাদি অবস্থায় পড়ে থাকে ফসলি জমিগুলো। এই দুরবস্থা চলে পরপর কয়েক বছর।
দেবীসিংহের পতনের পর দেওয়ান নিযুক্ত হন রাজমাতুল জানকীরাম। তিনি পড়ে থাকা অনাবাদি জমি চাষাবাদের জন্য সাঁওতাল পরগনা, ছোট নাগপুর, দুমকা, রাজমহল প্রভৃতি অঞ্চল থেকে সাঁওতালসহ অন্যান্য আদিবাসী কৃষক ও শ্রমিক আমদানি করেন এবং তাদেরকে খাজনামুক্ত জমির বন্দোবস্ত দিয়ে নাগরিকত্ব প্রদান করেন। তবুও কেন এদের আদিবাসী বলা যাবে না? কুদ্দুসের কথায় আমরা নীরব থাকি।
নৃতত্ত্ববিদদের মতে, মুসহররা দ্রাবিড়ীয় গোষ্ঠীর। এ আদিবাসী জাতিটি নিজস্ব ধারার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করে এদেশে গড়ে তুলেছে বৈচিত্র্যময় জীবন প্রণালী।
কথায় কথায় চলে আসি মুসহর পাড়ায়। পাকা রাস্তা থেকে নেমে পড়ি মেঠোপথে। দুদিকের গাছগুলো একেবারেই পাতাশূন্য। বসন্ত বাতাসে পাতার স্তুপ জমেছে পথের ধারে। বেশ কয়েকটি শিমুলের গাছে লাল টকটকে ফুল ফুটে আছে। প্রকৃতির অন্যরকম সৌন্দর্য যেন ঘিরে রেখেছে আদিবাসী পাড়াটিকে। শিমুল ফুলে মুগ্ধ হয়ে চোখ ঘুরাতেই দেখি মাটি আর ছনে ছাওয়া আদিবাসীদের ঘরগুলো।
ঢেরাপাটিয়ায় যখন পৌঁছি সূর্য তখন ডুবুডুবু। এ পাড়াতেই বাস করে মুসহর আদিবাসীদের ২০টি পরিবার। একটি বাড়িতে ঢুকেই দেখি অন্য দৃশ্য। এক নারী ধূপ জ্বালিয়ে উঠানের তুলসি দেবতাকে ভক্তি দিচ্ছে। সনাতন ধর্মের মুসহরদের কাছে তুলসিই গৃহদেবতা, মুসহর ভাষায় ‘সিরবা খারা’। কাজ থেকে সবাই ফিরছে বাড়িতে।
বাড়ির কর্তা পলিন ঋষি জানালো, এ সময়টাতে মুসহরসহ এ অঞ্চলের আদিবাসীরা ব্যস্ত থাকে ফসলের জন্য মাঠ তৈরির কাজে। তবে দুই-একজন ছাড়া এখানকার অধিকাংশ আদিবাসীই ভূমিহীন। ফলে এরা পাইট বা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে অন্যের জমিতে। জানা গেলো অভাবের মাসে এখানকার মুসহররা আগাম শ্রম বিক্রি করে মহাজনদের কাছে। ফলে এ সময়টাতে মহাজনদের জমিতে কম মূল্যে মজুর খেটে প্রথমেই তাদের শোধ করতে হয় কর্জের টাকা। ফলে তাদের বাড়তি আয় করার সুযোগ থাকে না।
নৃতত্ত্ববিদদের মতে, মুসহররা দ্রাবিড়ীয় গোষ্ঠীর। এ আদিবাসী জাতিটি নিজস্ব ধারার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করে এদেশে গড়ে তুলেছে বৈচিত্র্যময় জীবন প্রণালী। দিনাজপুরে বসবাসরত মুসহর সমাজে প্রচলিত আছে এদের জাতির উৎপত্তি নিয়ে একটি কাহিনি- একবার ঈশ্বর সম্পদ বণ্টন করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। সবাইকে একদিন ডেকে পাঠালেন। বললেন, সকাল সকাল আসতে। ঈশ্বরের কথামতো অন্য সবাই সকাল সকাল এসে সম্পদ বুঝে নিল।
এলো না শুধু মুসহররা। গাঁজা খেয়ে তারা ঘুমিয়ে রইল। ভাবলো তাদের সম্পদ তো থাকবেই। পরে গিয়ে ধন-সম্পদ নিয়ে আসবে। এদিকে শেষ হয়ে যায় ঈশ্বরের সম্পদ ভাগ করা। কিন্তু আর কিছুই তখন বাকি রইল না। ঘুম থেকে উঠে মুসহররা যখন এলো তখন পড়ে ছিল একটি ডালি ও ঝাঁটা। তাদের দেখে ঈশ্বর বিরক্ত হয়ে বললেন, ঝাড়ু দিয়ে যা পড়ে আছে তা-ই নিয়ে যাও। সারাটা জীবন তোমরা ঝাড়ু দিয়েই জীবন কাটাবে।
সে থেকেই মুসহররা ধান কাটার পর ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান বের করে ঝাড়ু দিয়ে যা পায় তা নিয়েই জীবনযাপন করে। এটি ঈশ্বর কর্তৃক নির্ধারিত বলে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে তারা। অন্যদিকে নৃতত্ত্ববিদদের মতে, আদিকালে জনৈক ঋষির দুই পুত্র ছিল। তাদের মধ্যে বড় পুত্রের উত্তরসূরিরা যোদ্ধা হিসেবে ভূমিকা রাখেন। ফলে সম্মানার্থে তাদের নামকরণ করা হয় ‘রাজোয়াড়’। ছোট পুত্রের উত্তরসূরিরা মুষিক খাবার বেশি খেত। ফলে তারা পরিচিতি পায় ‘মুসহর’ নামে।
চারপাশে অন্ধকার নামতেই মুসহর পাড়ার ঘরগুলোতে জ্বলে কুপির আবছা আলো। পলিনকে নিয়ে ঘুরি গোটা পাড়াটিতে। একটি বাড়ির উঠানে খানিকটা জটলা। উচ্চকণ্ঠে কিছু একটা পড়ছেন গোত্রের মণ্ডল হেমন্ত ঋষি। সাপের বিষ নামানোর ওঝা তিনি। দিক্ষা দিচ্ছেন নিজেরই শিষ্য দারা ঋষিকে। আমাদের অনুরোধে পশ্চিমা ভাষায় হরহর করে বলতে থাকেন বিষ নামানোর মন্ত্রটি: ‘সাক তোরেক গেলেন দুর্গা/ পাটকানা বাড়ি/ একমুঠি তরলে/ দুমুঠি তরলে/ তিনমুঠি তরলে দুর্গা/ কালনাগিন খাইলো/ তোহারা যে ছেতেক দেবী/ কালনাগিন খাইলো/ ভালা হইলো, ভালা হইলো/ আন্দাজি মরিল/ আনবো গরুলের জানডা/ আনতাজি জিলাইবো/ কাতিকরা গাহান বাতি/ রদমা পাছাইর বাতি/ শিবের মাথা কান্দে মাগো/ একটুকো ঝাড়িব/ ঝাড়িয়ে ঝাড়িয়ে আন্তা/ বিষ করিবো পানি।’
কথা হয় যুবক বয়সি মানু ঋষির সঙ্গে। তার হাতে খোদাই করা কাঁকড়া আকৃতির একটি চিহ্ন দেখায়। মুসহরদের কাছে এটি ‘জাতি চিহ্ন’। ছোটবেলায় বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করতে হয় এই চিহ্ন।
কথা চলে মণ্ডলের সঙ্গে। তিনি জানালেন, অভাবের সময় জংলি আলুর ওপর নির্ভর করলেও মুসহরদের পছন্দের তালিকায় আছে সুবরা (শূকর), মুসুরা (ইঁদুর), কোকরা (কাঁকড়া), কুচিয়া (কুইচ্চা), দুরউয়া (এক ধরণের প্রাণী মাটির ভেতর গর্ত করে থাকে), ঘংমা (শামুক), বিজাইয়া (বিজু) ও সেরকিয়া (শালুক) প্রভৃতি। কুপি হাতে ঘরের ভেতর থেকে আসে মণ্ডলের স্ত্রী গণ ঋষি ও যুবতী মেয়ে শ্যামা ঋষি। আসর জমতেই তারা একটি গান শোনায়।
পাশ থেকে মাদল ধরেন পলিন। মুসহর ভাষায় গানটি: ‘কোন বাটে উড়ালো তিরা রে গুলালিয়া/ হামার কাচে রে উমারিয়া/ কোন বাটে উড়ালো বিদেশিয়ারে/ হামার কাচে রে উমারিয়া’। ভাবার্থ: ‘ভিনদেশে স্বামী যাচ্ছে। বধূ তখন বলছে, তীর যেমন ছুড়ে দিলে কোথায় যাবে কেউ জানে না। তেমনি তুমি বিদেশে চলে যাচ্ছ, ঘরে অবলা ধন আমি থাকবো কেমনে! আমি জানি না কী হবে আমার।’ গানের আসর জমে ওঠে। একটির পর চলে আরেকটি। ‘আরে গিদারিয়া/ ভাতা দেব, তিনা দেব নুনুক খেলা’। ভাবার্থ: শিয়াল এসেছে। বাচ্চা চুপচাপ ঘুমিয়ে থাক, না হলে এসে কামড়াবে।
পূর্বপুরুষদের আমল থেকেই এসব গান মুসহরদের মুখে মুখে প্রচলিত হয়ে আসছে। এ আদিবাসী পরিবারে নবজাতকের নাম রাখতে অন্য জাতির মতো কোন আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয় না। তবে মৃত্যু নিয়ে এক ধরণের দুঃখবোধ আছে তাদের মধ্যে। গোত্রের মণ্ডল অন্ধকারের মধ্যেই উত্তরদিকে আঙুল দিয়ে দেখালেন মুসহরদের কবরস্থান। কবরস্থানকে এরা বলে ‘শোসান মা’। তিনি বললেন, মৃত্যুর পর মুসহররা লাশ মাটিচাপা দিয়ে থাকে। তবে পূর্বপুরুষদের আমলে তারা লাশ দাহ করত। কালক্রমে আর্থিক দৈন্যদশার কারণে তারা পরিবর্তন করে নিয়েছে পূর্বপুরুষদের রীতিটিকেও। এখন লাশ উত্তর-দক্ষিণে মুখ করে কোন মন্ত্রপাঠ ছাড়াই মাটিচাপা দেয়।
কথা হয় যুবক বয়সি মানু ঋষির সঙ্গে। তার হাতে খোদাই করা কাঁকড়া আকৃতির একটি চিহ্ন দেখায়। মুসহরদের কাছে এটি ‘জাতি চিহ্ন’। ছোটবেলায় বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করতে হয় এই চিহ্ন। মানু জানালো, মুসহরদের সব আনন্দ পূজাকে ঘিরে। এদের বড় উৎসব ছটপূজা। এ পূজায় তিনদিন আগে থেকেই পবিত্রতার সঙ্গে থাকতে হয় উপোস। উপোস অবস্থায় দুধকলা ছাড়াও খাওয়া যায় বিনা লবণে আতপ চালের ভাত। মুসহরদের কাছে এটি ‘ক্ষীর’।
পূজার দিন সকালে সূর্য ওঠার আগে নদীর মধ্যে কোমর পানিতে নেমে সূর্যকে ভোগ দিয়ে প্রার্থনা করে এরা। এদের বিশ্বাস এই পূজায় সূর্য ও গঙ্গার আশীর্বাদ একইসঙ্গে পাওয়া যায়। ছটপূজা ছাড়াও চিতিয়া বা ডালা পূজায় মুসহররা ঠাকুরের উদ্দেশ্যে মুর্গা (মুরগি) বলি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খায়। রাতভর চলে আদিবাসী নৃত্য আর হাঁড়িয়া খাওয়া।
সাঁওতালসহ এ অঞ্চলের অধিকাংশ আদিবাসীরাই দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছে। কিন্তু মুসহররা এর ব্যতিক্রম। দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করেই তারা টিকিয়ে রেখেছে পূর্বপুরুষদের সনাতন ধর্মরীতিকে। ফলে স্বতন্ত্রভাবে এখনো টিকে আছে মুসহর আদিবাসী সংস্কৃতি। গণ ঋষি জানালো, বিভিন্ন সময়ে বীরগঞ্জ থেকে খ্রিস্টান মিশনের লোকেরা আসত এ পাড়ায়। প্রস্তাব করত ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের। গণ ঋষির ভাষায়, ‘ঘারা দেতে, গারুয়া দেতে, ভুতুরুয়েলকে পাড়াইতে, খাবে বালা দিতে’। অর্থাৎ তারা প্রস্তাব করত ঘর দেবে, গরু দেবে, বাচ্চাকে পড়াশোনা করাবে, ভালো খাবার দেবে।
তবু কেন খ্রিস্টান হচ্ছেন না? এমন প্রশ্নে পাশ থেকে অগ্নি ঋষি অগ্নিকণ্ঠে বলে, ‘জাতিরা নষ্ট কারাহে খালি’, অর্থাৎ জাতিটাকে শুধু নষ্ট করে ওরা। সে জানালো, তারই এক ভাই নীলফামারীতে খ্রিস্টান হয়েছে আজ ২০ বছর হলো। সে হারিয়েছে তার বাপদাদার আমলের ধর্মকেন্দ্রিক সংস্কৃতি। তার আজ দারিদ্র্য নেই, একইসঙ্গে নেই নিজ জাতিসত্তাটুকুও।
যখন ফিরছি মুসহর পাড়ার ঘরগুলোতে তখন একে একে নিভে যাচ্ছিল কুপির আলোগুলো। ভাবনা আসে, মুসহররা কি পারবে দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে? নাকি কুপির আলোর মতোই একে একে নিভে যাবে তাদের চিরচেনা ভাষা, ধর্ম আর সংস্কৃতিগুলো।
লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কিডজে, প্রকাশকাল: ২২ নভেম্বর ২০২৩
© 2024, https:.