কলাম

জনযুদ্ধে জনমানুষের লড়াই

পাকিস্তানি আর্মিই বলেছিল—‘যেদিকে দেখি সেদিকেই শত্রু দেখি। উই ক্যান্ট ট্রাস্ট আ সিঙ্গেল বেঙ্গলি।’ পাকিস্তানি সেনারা শক্তিতে তো কোনো অংশেই কম ছিল না। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের সাথে ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের অন্যতম কারণ ছিল এটা। তাই একাত্তরে সবচেয়ে বড় কন্ট্রিবিউশন ছিল সাধারণ মানুষের। উই মাস্ট স্যালুট দেম।

”গ্রামে মুক্তিবাহিনী আসছে এমন খবর পেলে পাকিস্তানি আর্মি এসে গোটা গ্রামটা জ্বালিয়ে দেবে। সেই ভয়েই গ্রামবাসী ঘাটের সব নৌকা ডুবিয়ে রেখেছে। ‘আও আমার লগে আও’ বলেই মেয়েটি নদীর এক পাশে ডোবানো নৌকাগুলো দেখিয়ে তুলে নিতে বলে। নিজেই খুঁজে আনে লগি। সহযোদ্ধারা পানি সেচে দুটি নৌকা নদীতে ভাসায়। তাকে সঙ্গে নিয়েই ওপারে যাই। একটি নৌকা ঘাটে রাখি। আরেকটি নৌকা নিয়ে মেয়েটি নদীর জলের অন্ধকারে মিলিয়ে যায়। পুরো দৃশ্যটিই স্বপ্নের মতো মনে হয়। সেতুটি উড়িয়ে ভোরের দিকে আমরা ক্যাম্পে ফিরি।

মনের ভেতর এখনো ভেসে ওঠে মেয়েটির মুখখানা। গ্রামবাসীর চোখ এড়িয়ে, জীবনের ঝুঁকি জেনেও ওই রাতে সে এসেছিল শুধুই মুক্তিযোদ্ধাদের পার করিয়ে দিতে। এর চেয়ে বড় যুদ্ধ আর কী হতে পারে!”

সময়টা ১৯৭১। একবার নির্দেশ আসে বড়লেখায় সাতমাছড়া সেতু উড়িয়ে দেওয়ার। ক্যাম্প থেকে মুভ করি রাতে। প্রথম নদীর পাড়ে এসে নৌকা পেলাম। কিন্তু দ্বিতীয় নদীর কাছে কোনো নৌকা ছিল না। রাত তখন ২টার মতো। নৌকার খোঁজে সহযোদ্ধারা আশপাশে ছোটে। কিন্তু না, কোনো নৌকা নেই। কী করব ভাবছি। হঠাৎ আমাদের পেছনে একটি ঝোপে কী যেন নড়ে উঠল। সঙ্গে সঙ্গে বন্দুক তাক করা হয়। কে ওখানে? কাঁপতে কাঁপতে একটি মেয়ে বেরিয়ে আসে। বয়স তার ১৫ বা ১৬ বছর। পরনে শাড়ি। আঁচলের কিছু অংশ কামড়ে ধরে কাঁপছে। সিলেটি ভাষায় বলে, ‘মুক্তি নি? আমি জানতাম আফনারা আইবা।’

সে জানাল, গ্রামে মুক্তিবাহিনী আসছে এমন খবর পেলে পাকিস্তানি আর্মি এসে গোটা গ্রামটা জ্বালিয়ে দেবে। সেই ভয়েই গ্রামবাসী ঘাটের সব নৌকা ডুবিয়ে রেখেছে। ‘আও আমার লগে আও’ বলেই মেয়েটি নদীর এক পাশে ডোবানো নৌকাগুলো দেখিয়ে তুলে নিতে বলে। নিজেই খুঁজে আনে লগি। সহযোদ্ধারা পানি সেচে দুটি নৌকা নদীতে ভাসায়। তাকে সঙ্গে নিয়েই ওপারে যাই। একটি নৌকা ঘাটে রাখি। আরেকটি নৌকা নিয়ে মেয়েটি নদীর জলের অন্ধকারে মিলিয়ে যায়। পুরো দৃশ্যটিই স্বপ্নের মতো মনে হয়। সেতুটি উড়িয়ে ভোরের দিকে আমরা ক্যাম্পে ফিরি।

মনের ভেতর এখনো ভেসে ওঠে মেয়েটির মুখখানা। গ্রামবাসীর চোখ এড়িয়ে, জীবনের ঝুঁকি জেনেও ওই রাতে সে এসেছিল শুধুই মুক্তিযোদ্ধাদের পার করিয়ে দিতে। এর চেয়ে বড় যুদ্ধ আর কী হতে পারে! সহযোদ্ধাদের কাছে মেয়েটি ছিল পরী বা ফেরেশতা। কিন্তু আমার কাছে সে একজন মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরে এমন নারী ও সাধারণ মানুষ পাশে ছিল বলেই মাত্র

৯ মাসে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ইতিহাসের ভেতরের ইতিহাসটিও তুলে আনতে হবে খোকন। তা না হলে মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস হবে না।

একাত্তরের ঘটনা বলতে গিয়ে এভাবেই সাধারণ মানুষের অবদানের ইতিহাস তুলে ধরেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আহম্মদ বাবু। তিনি যুদ্ধ করেছেন ৪ নম্বর সেক্টরে, কুকিতল ক্যাম্পের কমান্ডারও ছিলেন। কুকিতল ক্যাম্পেরই আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দিন আহমেদ। একাত্তরে সাহসিকতার জন্য বীরপ্রতীক খেতাব লাভ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে যুদ্ধ ছিল—হিট অ্যান্ড রান। পরে একেক ধাপে যুদ্ধটাও একেকভাবে এগোয়। সে যুদ্ধে সাধারণ মানুষ সবসময়ই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে।’

—কীভাবে?

অজানা একটি ঘটনার কথা এই বীরপ্রতীক বললেন এভাবে, “লাঠিটিলা বর্ডারে ছিল পাকিস্তানি আর্মিদের একটা ক্যাম্প, আমাদের ক্যাম্প থেকে দুই বা তিন কিলোমিটার দূরে। রাতে গন্তব্যে পজিশন নিয়ে ভোরে আক্রমণ করি। মিত্রবাহিনী পেছন থেকে আর্টিলারি সাপোর্ট দেয়, সামনে আমরা এগোই। দুই দিক থেকে আক্রমণ চলে। ফলে ওরা টিকতে পারে না।

ওই অপারেশনে দুজন পাকিস্তানি আর্মি রাস্তা ভুলে চা বাগানের এক কুলিকে বলে, ‘আমাদের জুড়ি ক্যাম্পে নিয়ে যাও।’ ওই কুলি কৌশলে তাদের ইন্ডিয়ার ভেতরে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে চতুর্দিক থেকে ঘেরাও করে আমরা ওদের ‘হ্যান্ডস আপ’ করাই। পরে ইন্ডিয়ান আর্মিরা ওদের নিয়ে যায়।

এ সফলতায় বিশাল আবদান ছিল ওই বাঙালি কুলির। কত বড় সাহস দেখেন! পাকিস্তানি আর্মির হাতে অস্ত্র। জীবন যাওয়ার ভয়ও ছিল। তবুও তাদের ভুল পথে নিয়ে আসছে। এভাবে সাধারণ মানুষ আমাদের সহযোগিতা করেছে। কোনো অপারেশনের পূর্বে রেকি করার জন্য ওই এলাকার একজন গাইড লাগত যে ওই এলাকা সম্পর্কে জানে। কোন জায়গায় আর্মি আছে, তারা কোন পথে আসা-যাওয়া করে—এমন তথ্য সে বললে আমরা ম্যাপ করে নিতাম। যখন যুদ্ধ করেছি তখন ভাবিনি ৯ মাসে দেশ স্বাধীন হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের সহযোগিতার কারণেই গেরিলা যুদ্ধে সফল হই। স্বাধীনতা আনাও সহজ হয়।”

আরেকটি ঘটনার কথা শুনি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুস সামাদের মুখে। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন ৬ নম্বর সেক্টরে। তার ভাষায়, “একাত্তরের আগস্ট মাসের ঘটনা। নীলফামারীর ডিমলায় টুনিরহাট নামক একটি জায়গায় ছিল পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্প। ওরা ছিল এক প্লাটুন, ত্রিশজনের মতো। একটি বাড়ির একতলার ওপরে পজিশন নিয়ে থাকত। তাদের সঙ্গে পাহারায় ছিল রাজাকাররা।

আমাদের কোম্পানি তখন ঠাকুরগঞ্জ নামক জায়গায়। অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় আমাকে। টার্গেট ছিল ওদের ওপর আক্রমণ করেই ফিরে আসব। সন্ধ্যায় ক্যাম্পে আসে গ্রামেরই এক ছেলে। নাম রফিকুল্লাহ। নবম শ্রেণিতে পড়ত সে। সে এসে বলে, আপনারা কি মুক্তিযোদ্ধা? প্রশ্ন শুনে একটু অবাক হই। বললাম, তোমার জানার দরকার কী? তার অকপট উত্তর, ‘মুক্তিযোদ্ধা হলে সাহায্য করব। ক্যাম্পে ওরা কয়জন আছে, কোন দিক দিয়ে যেতে হবে—সব আমার জানা। আমি নিয়ে যেতে পারব।’ মৌখিক যাচাই করে তাকে আমরা গাইড হিসেবে সঙ্গে নিলাম।

ও সামনে, আমরা পেছনে। আকাশে বেশ মেঘ জমেছে। হঠাৎ পাকিস্তানিরা টের পেয়ে যায়। ওদের পজিশন উঁচুতে হওয়ায় সামনে থাকা রফিকুল্লাহকে তারা দেখে ফেলে। ফলে গুলি চালায়। গুলিটি তার বুকে এসে লাগে। মাটিতে পরেই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। ছটফট করতে করতে রফিকুল্লাহ বলে, ‘ওদের আপনারা ছেড়ে দিয়েন না। ওদেরও গুলি করে মারেন ভাই।’ এরপরই তার দেহ নিথর হয়ে যায়। ওর কথাগুলো এখনো কানে বাজে। আমরা তার কথা রাখতে পারিনি। এটা ভাবলেই কষ্ট হয়। রফিকুল্লাহর লাশটা ফেলেই চলে আসতে হয়েছিল। এ ঘটনা এখনো আমাকে পীড়া দেয়। সেও তো ছিল একজন বীর যোদ্ধা। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতায় তার রক্তও মিলে আছে। আজও জানি না তার আত্মত্যাগের ইতিহাস তার পরিবার জানে কি না।”

কথা হয় আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা কনস্টেবল মো. আবু শামার সঙ্গে। একাত্তরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে অস্ত্রাগারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় সেখানে। তাদের কয়েকজনকে বন্দি করে টর্চার করে কয়েক দিন। পরে ঢাকার পুলিশ সুপার ই এ চৌধুরীর জিম্মায় দিয়ে তাদের বলা হয় মিলব্যারাকে রিপোর্ট করতে। এরপর কী ঘটল? সে ইতিহাস তুলে ধরেন আবু শামা—‘হেঁটে রওনা হই। পুলিশের পোশাক পরা। তাতে শরীরের রক্ত শুকিয়ে টিনের মতো শক্ত হয়ে গেছে। চিন্তা করলাম মিলব্যারাকে আর যাব না। বাড়ি ফিরব। তাই গেন্ডারিয়ার দিকে এগোই আমরা। সূত্রাপুর লোহার ব্রিজটার কাছে গিয়ে বুকের ভেতরটা আঁতকে ওঠে। লোহার ব্রিজ থেকে একটা ক্যানেল গেছে বুড়িগঙ্গার দিকে। সেখানে হাজার হাজার লাশ পানিতে ভাসছে। মরা মানুষের দেহ ফুলে ভেসে আছে, তাতে ঠোকরাচ্ছে শত শত কাক। এ দৃশ্য যারা চোখে দেখেনি, তারা একাত্তরকে অনুভবও করতে পারবে না ভাই।

আমাদের দেখে সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসে। ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলাম না। তারা কাঁধে তুলে নিয়ে যায় এক বাড়িতে। কাপড় খুলে ক্ষত জায়গায় ওষুধ লাগিয়ে পুরোনো কাপড় পরিয়ে দেয়। কয়েক বাড়ি থেকে নিয়ে আসে খাবার। গেন্ডারিয়ার ওই মানুষগুলোর কথা এখনো মনে পড়ে। এরাই শান্তিকামী, মুক্তিকামী মানুষ। আমি এখনো দোয়া করি তাদের জন্য।’

পরে আবু শামা মুক্তিযুদ্ধ করেন তিন নম্বর সেক্টরে। যুদ্ধে সাধারণ মানুষের অপরিসীম সহযোগিতা পেয়েছেন তারা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের পাক (রান্না) করে দিত এক মেয়ে, নাম মনোয়ারা। সেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ কাজ করেছে। একাত্তরে প্রচুর বৃষ্টি ছিল। মাথায় আমরা কলাপাতা দিয়ে রাখতাম। গোপনে গ্রামের রাস্তা দিয়ে যেতাম। দেখতাম বৃদ্ধ মানুষ আমাদের জন্য চিড়া, গুড় আর কলসিতে পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বলত, ‘বাবা, কখন কী খাইছো জানি না। তোমাদের অপেক্ষায় আমরা। একটু পানি খাও, গুড় খাও, চিড়া খাও।’ এই যে একটা মহব্বত, একটা মায়া এটা ভোলার মতো না। সাধারণ মানুষের ভালোবাসাটাই ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি।”

মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের সহযোগিতার কথা আমরা ভুলে গেছি বলে মনে করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ইকবাল রশীদ। ৬ নম্বর সেক্টরের চিলাহাটি সাবসেক্টরের কমান্ডার ছিলেন তিনি। অকপটে বললেন, ‘যারা সৈনিক বা মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। আমাদের পাকিস্তানি সেনারা অ্যাটাক করলে ইন্ডিয়াতে সরে যেতে পারতাম। কিন্তু সাধারণ মানুষ যারা গ্রাম বা শহরে ছিলেন তারা কোথায় যাবে? তারাই সরাসরি ওদের অত্যাচার ফেস করেছে। গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আসছে এই অপরাধে গ্রামের বাড়িগুলো পাকিস্তানি সেনারা জ্বালিয়ে দিত। ৯ মাসে এভাবেই নির্যাতিত ও সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে সাধারণ মানুষ।

চিলাহাটি থেকে যখন দুটো কোম্পানি নিয়ে মার্চ করি, রাস্তায় দেখি শত শত লোক মুড়ি আর গুড় হাতে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক জায়গায় অচেনা লোকেরাই রান্না করে খাবার দিয়েছে। এটা যে কত বড় সাপোর্ট, চিন্তাও করতে পারবেন না। অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মাইন ও অ্যামুনেশন ক্যারি করার জন্য লোক লাগত। গ্রামের মানুষই ভলান্টিয়ার করেছে। সৈয়দপুরে ধরে ধরে সাধারণ বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে, রংপুরের অনেককেই মেরে ফেলা হয়েছে, বুড়িমারীতে রেপ করে মেরে ফেলা হয় বহু নারীকে। কই তাদের কথা তো আমরা তুলে ধরেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানি আর্মিরা কোথায় লুকিয়ে আছে, তা আগেই এসে আমাদের বলে যেত সাধারণ মানুষ। কারণ তারা আমাদের সাথে ছিল। পাকিস্তানি আর্মিই বলেছিল—‘যেদিকে দেখি সেদিকেই শত্রু দেখি। উই ক্যান্ট ট্রাস্ট আ সিঙ্গেল বেঙ্গলি।’ পাকিস্তানি সেনারা শক্তিতে তো কোনো অংশেই কম ছিল না। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের সাথে ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের অন্যতম কারণ ছিল এটা। তাই একাত্তরে সবচেয়ে বড় কন্ট্রিবিউশন ছিল সাধারণ মানুষের। উই মাস্ট স্যালুট দেম। কিন্তু স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর চলছে। উই ডোন্ট স্যালুট দ্য পিপল।’

একাত্তরের মার্চ-ডিসেম্বরের স্বাধিকার ও সার্বভৌমত্ব অর্জনের যুদ্ধটি ছিল পুরোপুরি একটি জনযুদ্ধ। তৃণমূলের মানুষের লড়াই ছিল সেটি। যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন প্রশস্ত বুকে, ভয়শূন্যচিত্তে। এই যুদ্ধে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নানাভাবে অংশ নিয়েছিলেন সাধারণ মানুষও। মূলত সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার জন্যই লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সবাইকে এক করেছিলেন তিনি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার বায়ান্ন বছরেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সাধারণ মানুষ বা জনযোদ্ধাদের ইতিহাস উঠে আসেনি তেমন। যার দায় শুধু সরকারের নয়, আমাদের সবার ওপরই বর্তায়।

লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক কালবেলায়, প্রকাশকাল: ২৬ মার্চ ২০২৪

© 2024, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button