কলাম

সংবিধানে ৭ মার্চের ভাষণে শতাধিক ভুল সংশোধনে আর কত অপেক্ষা?

৭ মার্চ ১৯৭১। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন ঢাকায়, রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। যা কোনো লিখিত ভাষণ ছিল না। প্রায় দশ লক্ষাধিক মানুষের উত্তাল সমুদ্রের মধ্যে দেওয়া ভাষণের বক্তব্যের প্রেক্ষাপট আকস্মিক কোনো ঘটনাও ছিল না। বরং দুই যুগের বেশি সময় ধরে জাতির জনকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং নিপীড়িত গণমানুষের মুক্তির স্পন্দনের বহিঃপ্রকাশ ছিল এই ভাষণ।

বঙ্গবন্ধুকে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ছাত্রনেতারা। কিন্তু তিনি তা করেননি। কেননা তা করলে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা লাখো নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ চালানোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করতো।

এমন পরিস্থিতিতে খুবই বিচক্ষণ ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। উত্তাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন তিনি। পাকিস্তানি সামরিক জান্তা যেন তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামকে বানচাল করতে না পারে, তার জন্য তিনি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা করলেন না। কিন্তু ভিন্নভাবে বলে দিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির কথা। পাকিস্তানিদের প্রতি ছুড়ে দিলেন ৪টি শর্ত আর দেশবাসীর জন্য জারি করলেন ১০টি নির্দেশনা।

খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করার ঘোষণা ও পাকিস্তানে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সতর্কতা উচ্চারণের মাধ্যমে পাকিস্তানকে পৃথক রাষ্ট্র হিসেবেই তুলে ধরলেন জনমানুষের সামনে। অফিস-আদালত-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা এবং রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে বাংলাদেশের সর্বময় অধিকারী তিনি এবং বাঙালিরা স্বাধীনভাবে চলতে শুরু করেছে।

সারাদেশে সংগ্রাম কমিটি গঠন ও ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার নির্দেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মূলত জনগণকেই সম্ভাব্য গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন। সাত মার্চের ভাষণ রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত হয়ে যারা শুনেছেন তারা কী দেখেছেন, কতটা প্রভাবিত করেছিল ওইদিনের ভাষণ? তা নিয়ে কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে।

এই ভাষণই স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ঘোষণা বলে মনে করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আহম্মদ বাবু। তার বাসা ছিল ঢাকার গ্রিন রোডে। ওইদিনের স্মৃতিচারণ করলেন এভাবে—“সত্তরের ইলেকশনে জিতে গেল আওয়ামী লীগ। বাঙালিরা লিড দেবে—এটা পাকিস্তানিরা মেনে নিতে পারেনি। ফলে ওরা পাওয়ার (ক্ষমতা) দিচ্ছিল না। বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আন্দোলনে নামে। পুলিশও রোজ গুলি করে মানুষ মারে। দেশ তখন উত্তাল। খেয়াল করবেন বঙ্গবন্ধু ভাষণে বলেছিলেন—‘আর যদি একটা গুলি চলে।’ এর মানে কী? গুলি চলছিল। তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল। কী অনুরোধ? সেই কথাও তিনি বলেছিলেন।

ধরেই নিয়েছিলাম শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন। তিনি পরিষ্কারভাবে বললেন—‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা।’ এরপরও কি স্বাধীনতার কথা আলাদাভাবে ঘোষণা করতে হয়? এর চেয়ে আর কত সোজা বাংলায় বঙ্গবন্ধু বলবেন? স্মরণকালের সেরা বক্তৃতা এটি। অথচ বিএনপির লোকেরা এখনো কয় ঘোষণা নাকি জিয়া করছে। আরে স্বাধীনতার ঘোষণা তো মার্চের সাত তারিখেই হয়ে গেছে।”

….সামনে কোনো বই নাই, খাতা নাই। সব কথা বঙ্গবন্ধু বললেন মন থেকেই। এ যেন এক ঐশ্বরিক ভাষণ। ওই ভাষণেই পুরো দিকনির্দেশনা পাই। সত্যিকার অর্থে ৭ মার্চই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা।

ঢাকার গেরিলা হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক খুব কাছ থেকে শোনেন বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি। তার ভাষায়—‘মাঠে তখন মানুষ আর মানুষ। ওটা ছিল একটা অপূর্ব ভাষণ। কী করতে হবে এই বোধটা বঙ্গবন্ধুই জাগিয়ে দিয়েছিলেন। ওই ভাষণেই পরিষ্কার হয়ে যাই সামনে কিছু একটা ঘটবে।’

এই প্রসঙ্গে কথা হয় নৌকমান্ডো মো. শাহজাহান কবিরের সঙ্গে। তিনি বললেন এভাবে—“ওইদিন সকালেই জগন্নাথ কলেজ থেকে রওনা দিয়ে মঞ্চের খুব সামনে অবস্থান নিই। মাঠে সবার হাতে হাতে লাঠি, মুখে মুখে স্বাধীনতার কথা। দুপুরের পর মঞ্চে উঠলেন বঙ্গবন্ধু। উনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন ইনডাইরেক্টলি। বললেন—‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শক্রর মোকাবিলা করতে হবে…আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে…।’ কথাগুলো মনে গেঁথে যায়।

আকাশে তখন সামরিক হেলিকপ্টার ঘুরছিল। বঙ্গবন্ধু যদি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দিতেন তাহলে লাখো লোক ওরা মেরে ফেলত। সেই প্রস্তুতিও তাদের ছিল। নেতা হয়তো এটা বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তিনি শুধু প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার নির্দেশ দিলেন। নেতার কথামতো পরদিনই আমরা জগন্নাথ কলেজ মাঠে ডামি রাইফেল দিয়ে ট্রেনিং শুরু করি।”

টাঙ্গাইল থেকে নেতাদের সঙ্গে ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে গিয়েছিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক (বীরপ্রতীক)। তার ভাষায়—‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি কথাই প্রবলভাবে নাড়া দেয়। ওটা ছিল জাদুকরি ভাষণ। ওই ভাষণই সারাদেশের কৃষক, জেলে, কামার, কুমার ও ছাত্র-জনতাকে স্বাধীনতার জন্য জাগ্রত করে তোলে। আমাদের কাছে ওটাই ছিল স্বাধীনতার স্পষ্ট ঘোষণা।’

কালাচাঁদপুর থেকে ৫০-৬০ জনসহ ঢাকার গেরিলা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন (বীরপ্রতীক) সকালের দিকেই হেঁটে চলে যান রেসকোর্সে। কী দেখলেন সেইখানে? তিনি বলেন—“সবার মধ্যে সে কী উত্তেজনা। লাঠি দিয়েই যেন পাকিস্তানি সেনাদের পরাভূত করবে। মুখে মুখে তখনই উচ্চারিত হয় স্বাধীনতার কথা। বঙ্গবন্ধু কৌশলে বাঙালির কষ্টের কথা তুলে ধরলেন। শেষে শুধু বললেন—‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সামনে কোনো বই নাই, খাতা নাই। সব কথা বঙ্গবন্ধু বললেন মন থেকেই। এ যেন এক ঐশ্বরিক ভাষণ। ওই ভাষণেই পুরো দিকনির্দেশনা পাই। সত্যিকার অর্থে ৭ মার্চই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা।

বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শক্রর মোকাবিলা করতে হবে…আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে…।’ এই কথাগুলোতেই বুঝে যাই সশস্ত্র কিছু ঘটবে।”

রেসকোর্স ময়দানে খুব কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি শোনেন ঢাকার আরেক গেরিলা আবদুল মান্নান (বীরপ্রতীক)। তিনি বললেন যেভাবে—“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম—এই কথাটাতেই আবেগটা আবদ্ধ হয়। হোয়াট ডাজ ইট মিন। আমি মনে করি, এটাই স্বাধীনতার ঘোষণা। বঙ্গবন্ধু বললেন—‘আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি..’ তার মানে এটাই ফাইনাল হুকুম। এটাই স্বাধীনতার ফাইনাল অর্ডার।”

বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেবেন এই খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে রেসকোর্সে চলে আসেন মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক)। তার ভাষায়—“মানুষ চাচ্ছে স্বাধীনতার ঘোষণা দিক বঙ্গবন্ধু। চিৎকার করে কেউ কেউ বলেন ‘স্বাধীনতা’ ‘স্বাধীনতা’। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শুরু করলেন দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে। বৈষম্যের পুরো ইতিহাস তুলে ধরলেন প্রথমে। সবশেষে বললেন—‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এই কথা দুটোই মন ছুঁয়ে যায়। এরপর তো আর কোনো ঘোষণার প্রয়োজন পড়েনি।”

ওইদিন ফজলুল হক হল থেকে রেসকোর্স ময়দানে যান মুক্তিযোদ্ধা ও বিএলএফ কমান্ডার রিয়াজউদ্দিন। কী দেখলেন সেইখানে? তিনি বলেন—“সবার হাতে হাতে বৈঠা আর বাঁশের লাঠি। মাথায় লাল কাপড় পরে এসেছে শ্রমিকরা। বঙ্গবন্ধু স্টেজে উঠলেন। উনি যখন—‘ভায়েরা আমার’ বললেন। সেই এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।

পৃথিবীর ইতিহাসে আকৃষ্ট করার মতো এমন ভাষণ তো নেই। সাধারণ মানুষ তন্ময় হয়ে শুনেছে বঙ্গবন্ধুকে। উনি সব ঘটনাই তুলে ধরলেন। মাঝে মধ্যে মহাসমুদ্রে যেন তালির ঢেউ ওঠে। আমার কাছে ওই ভাষণ একটা পরিপূর্ণ কবিতা। ভাষণ নয় বঙ্গবন্ধুর মনের ভেতর থেকে উচ্চারিত কথাই যেন বেরিয়ে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের চূড়ান্ত মাহেন্দ্রক্ষণ ছিল ৭ মার্চ।”

মুক্তিযুদ্ধকে জাগ্রত রাখতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটির শক্তি ছিল প্রবল। এই ভাষণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে স্বাধীনতার মূল সঞ্জীবনী শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিত এই ভাষণ সম্প্রচার করা হতো। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের এই ভাষণটিই হয়ে উঠেছিল রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা।

মুক্তিযুদ্ধকে জাগ্রত রাখতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটির শক্তি ছিল প্রবল। এই ভাষণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে স্বাধীনতার মূল সঞ্জীবনী শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিত এই ভাষণ সম্প্রচার করা হতো।

ফলে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চেও ঐতিহাসিক এই ভাষণে ভয় ছিল স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও তাদের অনুসারীদের। এই কারণেই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর টানা ২১ বছর ভাষণটির প্রচার নিষিদ্ধ করে রেখেছিল তৎকালীন সামরিক-অগণতান্ত্রিক শাসকরা। শুধু তাই নয়, ইতিহাস বিনষ্ট করার মানসে ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে গড়ে তোলা হয়েছিল শিশুপার্ক।

গণমানুষের প্রাণের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসীম ধৈর্য আর প্রজ্ঞা নিয়ে ধাপে ধাপে ইতিহাসের পথে পা ফেলেছিলেন। একাত্তরের ৭ মার্চে তিনি রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় দেওয়া ভাষণে জনগণকে যে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, যেভাবে সবাইকে একতাবদ্ধ করেছিলেন, উদ্বেলিত করেছিলেন, তা মানব জাতির সমগ্র ইতিহাসে বিরল। এই কারণেই ইউনেসকো ৭ মার্চের ভাষণকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই এই ভাষণ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো মানব জাতিরই সম্পদ।

তবে ৭ মার্চের ভাষণটি নিয়ে গর্বের পাশাপাশি ব্যথিত হওয়ার ঘটনাও রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণের বিশুদ্ধতা আজও নিশ্চিত হয়নি। সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক যে ভাষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সেইখানে শতাধিক জায়গায় ‘ভুল, অসম্পূর্ণতা ও অমিল খুঁজে পেয়েছে’ উচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।

২০২০ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী সুবীর নন্দী দাশের করা একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশনায় তথ্য মন্ত্রণালয় এই কমিটি গঠন করে। কমিটি ভাষণটি যাচাই-বাছাই, পর্যালোচনা ভুল-বিভ্রান্তি-অসম্পূর্ণতা চিহ্নিত করে ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয়ে এই প্রতিবেদন পাঠায়। পরে প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপনের জন্য প্রথমে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এবং ১৬ জুন ২০২২ তারিখে তা আদালতে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এই বিষয়ে আদালতের শুনানি না হওয়ায় এখনো সংবিধানসহ বহু জায়গায় ৭ মার্চের ভাষণের শতাধিক ভুল রয়েই গেছে।

ইতিহাসবিদ ও মুক্তিযুদ্ধ-গবেষকরা মনে করেন, জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধার অংশ হিসেবেই ঐতিহাসিক এই ভাষণটির নির্ভুল নিশ্চিত করা বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু সংবিধানে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের শতাধিক ভুল সংশোধনে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে?

লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে ঢাকাপোস্ট ডটকমে, প্রকাশকাল: ৭ মার্চ ২০২৪

© 2024, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button