নগরেরে বিস্মৃত আঁধারে- আমাদের যাপিত জীবন, আবেগ ও প্রাত্যহিকের গল্প
জীবন নানা রূপ, নানা রঙ, নানা ঢঙের সমাহার। ছুটে চলে তার আপন গতি, খেয়াল ও বৃত্ত ঘিরে, কখনো কক্ষপথ মাড়িয়ে বৃত্তের বাহিরে। বাঁকে বাঁকে তার বর্ণীলতা, ধুসরতা, দ্বন্দ্বও টানাপড়েন। সম্পর্ক, সমঝোতা, বিশ্বাস, নির্ভরতা ও আস্থার প্রতিফলন। গ্রাস করে নাগরিক জীবনের গতি-প্রকৃতি, দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা, প্রবঞ্চকটা ও পন্কিলতার হাতছানিতে টলে ওঠে কখনো কখনো, আঁচড় ফেলে আস্থা ও বিশ্বাসে। চিঁর ধরে অলক্ষ্যে, ভেঙ্গে পড়ে বাঁধন। “নগরেরে বিস্মৃত আঁধারে”- আমাদের যাপিত জীবন, আবেগ ও প্রাত্যহিকের গল্প।
লেখার পেছনের গল্পটা
আমার গল্প লেখার পেছনের গল্পটা বেশ ছোট। ‘একুয়া রেজিয়া’ নামের আড়ালের মানুষটি আর দশটা সাদামাটা মানুষের মতোই একজন। আমার ভাবনাগুলোকে কোন নির্দিষ্ট শিরোনাম ছাড়া লিখে যেতে যেতে গল্প লেখার পথ চলা শুরু হয়। আমার চারপাশে দেখা বিভিন্ন মানুষের জীবনের কথাগুলো গল্প বা গল্পের চরিত্র হয়ে আমার লেখনীতে জেগে ওঠে। একটা গাছকে যেমন জীবিত রাখার জন্যে, সতেজ রাখার জন্যে তাতে রোজ জল সঞ্চালন ও পরিচর্যা করতে হয়, ঠিক তেমনি করে আমার লেখালেখির পেছনে বেশ কিছু মানুষ প্রতিনিয়ত উৎসাহ, ভালোবাসা এবং আশির্বাদ দিয়ে গিয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই মাকে লেখালেখি করতে দেখে বড় হয়েছি। ক্লাস ফোরে পড়ার সময় জীবনে প্রথম গল্প লিখেছিলাম। ছোটবেলা থেকেই ভীষণ বই পড়ুয়া ছিলাম। মাঝে মাঝেই মনে হতো, যা ভাবছি,যা দেখছি তা লিখে ফেললে কেমন হয়। তাই ডায়েরী লেখার অভ্যাসটা ছিলো ক্লাস ফোর থেকেই। তারপর সময়ের সাথে সাথে যত বড় হতে থাকি ডায়েরীতে লেখা কথাগুলো কেমন যেন ছোট হতে থাকে। লেখার চেয়ে জানার আগ্রহটা বেড়ে যায় তখন। মূলত মানুষ ৩টি উপায়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে…
অনেক টাকা থাকলে- বিশ্ব ভ্রমণ করে
অল্প টাকা থাকলে- বই পড়ে।
আর টাকা না থাকলে- মানুষের সাথে কথা বলে, তাদের অভিজ্ঞতা জেনে।
আমি সব সময়ই দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মানুষের দলে ছিলাম। দিন ভালোই কেটে যাচ্ছিলো। ২০১০ সালে ‘চতুর্মাত্রিক’ব্লগে এসে আবার নিজের মনের এলেবেলে কথাগুলোকে লিখে ফেলার তাগিদ অনুভব করি। সেই থেকে মাঝে মাঝে টুকটাক গল্প লিখি। ব্লগ থেকে কিছু পত্রিকায়, গল্প সংকলনে, মূখবইয়ের ফ্যান পেইজে আমার গল্পগুলো বিভিন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে শুরু করে। আমার গল্পগুলো কেউ পড়ছে, আমার লেখা পড়ে কেউ পছন্দ করছে বা আমার লেখা কাউকে ভাবাচ্ছে, এ ধরণের অনুভূতি সব সময়ই আমার ছোট্ট মনকে আনন্দে অভিভূত করে ফেলে।
“নগরের বিস্মৃত আঁধারে” বইটির গল্পগুলো গত দু’ বছর ধরে একটু একটু করে যত্ন করে লেখা। এই বইটির গল্পগুলো যদি পাঠকের ভালো লাগে একটুও, সেটাই আমার সার্থকতা।
বইটি প্রচ্ছদ এঁকেছেন নির্ঝর নৈ:শব্দ্য।
প্রকাশক অন্যপ্রকাশ ।
বইমেলায় স্টল নং- ২৫৮, ২৫৯, ২৬০।
বইটির মূল্য ১৫০ টাকা (ডিসকাউন্টের পর)।
লেখক সম্পর্কে জানতে ও ঢাকার বাইরে থেকে বইটি সংগ্রহ করতে চাইলে : click here
লেখক পরিচিতি :
মাহরীন ফেরদৌস। ২০১০ সাল থেকে একুয়া রেজিয়া নাম নিয়ে, ব্লগিং-এর মাধ্যমে তার লেখালেখির সূচনা। লেখাপড়ার বিষয় চার্টার্ড একাউন্টেন্সি। স্বাধীনচেতা, অন্যমনা। জীবনানন্দ দাশের কবিতার খুব ভক্ত। রবি ঠাকুরের সব লেখাই তার প্রিয়। বিদেশী লেখকদের মধ্যে মাক্সিম গোর্কি, ও হেনরীর লেখা পছন্দ। লেখালেখি করতে ভালোবাসেন। নিজের লেখার চরিত্রগুলো তার বেশ আপন মনে হয়। স্কুল জীবন থেকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, এস্ট্রোনোমিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সাথে যুক্ত আছেন। নগরের বিস্মৃত আঁধারে তার প্রথম বই।
© 2013 – 2018, https:.