আদিবাসী

আদি মানুষদের বর্ণহীন ভাষা

বহবলদিঘি কোন দিকে? লোকটি চিন্তিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। চিন্তার রেশ কেটে যায় খানিক পরেই। মুখে এক চিলতে হাসি নিয়ে দেখিয়ে দেয় দক্ষিণমুখো ছায়াঘেরা একটি রাস্তা। বহবলদিঘিকে এখানকার লোকেরা আঞ্চলিক ভাষায় বলে ‘বগলডিগী’। তাই এই চিন্তার মেঘ।

দিনাজপুরের একেবারে সীমান্তঘেঁষা আদিবাসী গ্রাম এটি। পিচঢালা রাস্তার দুদিকে প্রাচীন আমলের বড় বড় গাছ। চারপাশে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ধানক্ষেত। সোনালি-সবুজ রঙের থোকা থোকা ধান ঝুলছে গাছগুলোতে। ধান কাটতে আর কয়েকদিন বাকি। সেই আনন্দে কৃষকদের মুখে যেন আনন্দের গোপন হাসি।
বছরের এই সময়টায় আশপাশ থেকে আসা বাঙালি মহাজনদের আনাগোনা বেড়ে যায় বহবলদিঘিতে। উদ্দেশ্য আদিবাসী পাইট খোঁজা। স্থানীয় ভাষা ‘পাইট’ মানে ‘দিনমজুর’। আর পাইট হিসেবে এখানে আদিবাসীদের বেশ কদর রয়েছে। এরা যেমনি কর্মঠ, তেমনি বিশ্বাসী। আর তাই স্বল্প সময়ে মাঠের ধান গোলায় তুলতে আদিবাসী পাইটের বিকল্প হয় না।
বহবলদিঘিতেই নানা ভাষাভাষি আদিবাসীদের বাস। পাড়াভেদে বাস করছে সাঁওতাল, মুন্ডা, ওঁরাও, কড়া, শিং, ভুনজার আর মাহালী সম্প্রদায়। প্রায় সারা বছর পাড়াগুলোতে চলে আদি মানুষদের জীবন, সংস্কৃতি ও ধর্মপ্রবাহের নানা আনুষ্ঠানিকতা।
রাস্তার পাশে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান। সেখানে বাঁশের মাঁচায় বসে গল্পের খৈ ফুটাচ্ছে কয়েক আদিবাসী বৃদ্ধ। কথার ফাঁকে ফাঁকে আয়েশ করে চা খাচ্ছে তারা। কাছে গিয়েও তাদের কথার কিছুই বোঝা গেল না। অপরিচিত এক ভাষায় কথা বলছে এরা। আমাদের দেখে বিনীতভঙ্গিতে বসতে দিয়ে বলল, ‘জোহার’। মানে নমস্কার।
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে আমরাও তাদের সঙ্গে গল্প জমাতে চেষ্টা করি। চলে নানা আলোচনা। জানা গেল, এখানকার আদিবাসীরা বাংলা বলতে পারলেও জাতিভেদে এরা নিজেদের মধ্যে পৃথক পৃথক ভাষায় কথা বলে। এক সম্প্রদায়ের ভাষার সঙ্গে অন্য সম্প্রদায়ের ভাষা খানিকটা মিলে গেলেও প্রত্যেক সম্প্রদায়ের ভাষাই ভিন্ন। উপেল কড়ার বয়স আনুমানিক পাঁচ বছর। সে চা খেতে এসেছে ‘বাবা’র সঙ্গে। বাবা মানে কিন্তু পিতা নয়। কড়া ভাষায় দাদাকে বলে বাবা। নাম জানতে চাইলে উপেল ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। পাশ থেকে তার দাদা কৃষ্ণ ‘কড়া ভাষায়’ বলে, ‘তোর নাম কয়েন লাগলো’।  নিজের ভাষায় কথাগুলো শুনে উপেল তার নাম জানাল। দোকানে বসা ওঁরাও সম্প্রদায়ের নিপেন টিগ্গা। এই বাক্যটিকে তার কুরুক ভাষায় বলল, ‘নিহাই নাম এন্দ্রা’। আমাদের মনে পড়ে যায় চাকমাসহ পাহাড়ের আদিবাসীদের কথা। ‘তোমার নাম কি’Ñ বাক্যটিকে চাকমা ভাষায় বলে, ‘ত নাং কি’, মারমারা বলে ‘না নামে জালে’, গারো ভাষায়, ‘নাংনি বিমুং মাই’ আর রাখাইনরা বলে, ‘মা নামে জালে’।
চায়ের দোকান থেকে আমরা একটি সাঁওতাল পাড়ার দিকে যেতে থাকি। আমাদের সঙ্গী হয় কৃষ্ণ কড়া। বহবলদিঘির পাশেই বিশাল শালবন। কৃষ্ণ জানায় বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে এখানকার আদিবাসীরা তীর-ধনুক নিয়ে শিকার করে এই শালবনে। বনে ঢোকার আগে এরা জঙ্গল দেবতা বা দানো ভূতকে পূজা দেয়। এদের বিশ্বাস এতে বনের মধ্যে অধিক শিকার মেলে। আর নানা বিপদ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। কথার ফাঁকে প্রিয় শিকারগুলোর নাম জানতে চাইলে কৃষ্ণ হড়হড় করে বলতে থাকে নামগুলো : মুসা (ইঁদুর), কুলাই (খরগোশ), সগট (খাটাশ), বিজু (বেজি), ঘুঘু ও মায়না (ময়না)।
প্রায় সকল আদিবাসীর পছন্দের শিকার একই হলেও জানা যায় শুধু ভাষার ভিন্নতার কারণে এদের শিকারগুলোর নামও ভিন্ন। যেমন খরগোশকে মু-া ভাষায় বলে ‘লাম্ভা’, ওঁরাওরা বলে ‘খেড়া’ আর মাহালিরা ‘কুলেই’। আদিবাসীদের খুবই প্রিয় খাবার শামুক। অন্যান্য সম্প্রদায়ের ভাষায় এটি ‘ঘুংঘি’ হলেও ভুনজারদের ভাষায় এটি ‘গোঙ্গা’।
কথা বলতে বলতে আমরা পৌঁছে যাই সাঁওতালপাড়ায়। এখানকার গোত্রের মহত দালু সরেন। দালু জানায়, অন্যান্য আদিবাসীর মতো তারাও তাদের জাতির ভাষা শিখেছে শিশু বয়সে পরিবার ও গোত্রের কাছ থেকে। মায়ের ঘুম পাড়ানি গান আর বাবার আদরের ভাষা শুনতে শুনতেই তারা রপ্ত করে ফেলে নিজেদের ভাষা। লিখিত কোন বর্ণ না থাকলেও যুগ যুগ ধরে এভাবেই মৌখিক ভাষায় তৈরি হয়েছে আদিবাসী গল্প, গান, গীত, ছড়া, ধাঁধা আর নানা রূপকথা। আদিবাসীদের কাছে এখনো তা রয়েছে জীবন্ত।
সাঁওতালপাড়ার পাশেই একটি বড় বটগাছ। সেখানে বসে আড্ডা দিচ্ছে ওঁরাও সম্প্রদায়ের নিপেন টিগ্গা, মু-া সম্প্রদায়ের খোশকা পাহান আর শিং সম্প্রদায়ের লবানু শিং। আমরাও তাদের আড্ডায় যোগ দেই। ভাষা নিয়ে কথা বলতেই জমে ওঠে আদিবাসী ভাষায় নানা শব্দের খেলা। অধিকাংশ সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা খালাকে ‘মুসি’ বললেও খালুকে ডাকে ‘মোসা’ বলে। মাকে মু-ারা ‘মায়ে’, মাহালিরা ‘মাই’, ওঁরাওরা ‘ইয়ো’ আর কড়ারা বলে ‘মেয়া’। একইভাবে বাবাকে ডাকে বাপ, বা বাপা বা ‘বা’ বলে। ক্রমেই আমরা মজার মজার শব্দ আবিষ্কারে বিভোর হতে থাকি। গ্রামকে মু-ারা বলে ‘গাও’, ওঁরাওরা ‘পাদ্দা’, কড়ারা ‘গা’ আর মাহালিরা ‘আতো’। প্রায় সকল আদিবাসীই চামচকে বলে ‘কালসুর’। ধানকে আদিবাসীরা ধন বা ধান বললেও ওঁরাও ভাষায় বলে ‘খেসেস’। আবার ডিমকে মু-ারা ‘আড়া’, ওঁরাওরা ‘বি’ এবং কড়া সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা বলে ‘ডিমা’। মাছকে অধিকাংশরা ‘মাছড়ি’ বললেও ওঁরাওদের কাছে এটি ‘ইনজো’। নদীকে অন্যান্যরা ‘নাদি’ বা ‘নেদি’ বললেও মাহালিরা বলে ‘গাড়া’। একইভাবে অধিকাংশরাই গরুকে গরু বললেও ওঁরাও সম্প্রদায়ের কাছে সেটি ‘আড্ডো’।
চাঁদ ও সূর্য আদিবাসীদের দেবতা। চাঁদকে সাঁওতালী ভাষায় বলে ‘ইন্দাচান্দু’, মু-া ভাষায় ‘চান্দ’, ওঁরাও ভাষায় ‘চান্দু’ আর কড়া ভাষায় ‘চান’। একইভাবে সূর্যকে সাঁওতালরা বলে ‘নিং চান্দু’, মু-ারা ‘বেলা’, ওঁরাওরা ‘বিড়ি’ আর কড়া ভাষায় বলে ‘বেড়া’। মানুষকে মু-া ও কড়া ভাষায় ‘আদমি’, সাঁওতালী ভাষায় ‘হড়’, ওঁরাও ভাষায় ‘আলায়’ বলে।
আদিবাসী ভাষার বিশাল শব্দ ভা-ার ফেলে দালু সরেনকে নিয়ে আমরা ফিরে আসি বহবলদিঘির রাস্তায়। খানিক এগুতেই একদল আদিবাসী ছেলেমেয়ের হট্টগোল চোখে পড়ল। সবার পরনে স্কুলের পোশাক। ভয়ে ভয়ে নাম জানাল সুদেব পাহান, বিপাশা বাছকি, নির্মল হেমব্রন আর কল্পনা সরেন। সবাই ফিরছে পঞ্চম শ্রেণীর প্রাক সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে। ভাষা নিয়ে কথা হয় সুদেব পাহানের সঙ্গে। বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীতে যখন সুদেব ভর্তি হয় তখন নিজের মাতৃভাষা মু-া ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা সে জানত না। নিজের মাতৃভাষায় পড়তে না পেরে সুদেবের শিশু মনে দাগ কাটে। পড়াশোনা তার কাছে তখন ভীতিকর এক বিষয়। স্কুলে নেই কোনো আদিবাসী শিক্ষক। ফলে ভালোভাবে বাংলা ভাষা বুঝতে, পড়তে ও লিখতে তার প্রায় বছরখানেক লেগেছিল। অন্য ভাষা শেখার ভীতিতে বহুদিন সুদেব স্কুল পালিয়ে লুকিয়ে ছিল পাশের শালবনে। সুদেবের কথায় আমরা ব্যথিত ও লজ্জিত হই। তার কথার পিঠে কথা বলার মানসিক শক্তি আমরা হারিয়ে ফেলি। আমাদের মনে শুধুই ঘুরপাক খায় ভাষা আন্দোলনের কথা, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কথা।
ভাষাগত বৈচিত্র্যতার কারণ নিয়ে আদিবাসীদের মধ্যে নানা ধারণা প্রচলিত আছে। তারা  মনে করে মানবসন্তানের জন্ম শুধুমাত্র পৃথিবীর একটি অংশে হয়নি। ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানে জন্ম ও বেড়ে ওঠার কারণেই মানুষের মধ্যে গড়ে উঠেছে নানা প্রকাশভঙ্গির। আর এই প্রকাশভঙ্গিই পরবর্তীতে ভাষায় রূপান্তরিত হয়।
আদিকালে মানুষ একটি স্থানে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করেনি। খাদ্য সংগ্রহ, শিকার আর চাষাবাদের জন্য মানুষ দল বেঁধে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ঘুরে বেড়াত। আর তখন এই দলগুলোর সদস্যদের মধ্যে নানা প্রয়োজনে তৈরি হতো এক রকমের প্রকাশভঙ্গির, এক ধরনের ভাষার। এভাবেই সম্প্রদায়ভেদে আদিবাসীদের  নানা ভাষার উদ্ভব ঘটে।
ভাষা নিয়ে দালু সরেনের বিশ্বাসও প্রায় একই। সে জানায় সাঁওতালী ভাষার নানা তথ্য। কোন লিখিত বর্ণমালা না থাকলেও সাঁওতালদের ভাষাকে লিখিত রূপ দেয়া, অভিধান তৈরি করা, পুস্তক রচনা ও লোককাহিনী সংগ্রহ ইত্যাদি কাজে বেসরকারিভাবে খ্রিস্টান মিশন কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। এ ছাড়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সাঁওতালী ভাষার ওপর ‘অলচিকি’ নামক বর্ণমালাও তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেসব বর্ণমালার তেমন কোনো প্রসার ঘটেনি।
বাজারের কাছে এসে দেখা মিলল মধ্য বয়সী আব্রাহাম হাজদার সঙ্গে। শিক্ষিত এই যুবকটি মাহালি সম্প্রদায়ের মহত। নিজের জাতির ভাষা নিয়ে জানায় নানান কথা। ভাষাগত দিক থেকে মাহালি আদিবাসীরা অস্ট্রিক ভাষার অনুসারী। বলা হয় অস্ট্রিক ভাষাই বাংলা ভাষার ভিত্তি স্থাপন করেছে। এই ভাষার অসংখ্য শব্দ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারতে মু-ারী ভাষাকে এই ভাষার প্রধান শাখা হিসেবে ধরা হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী সাঁওতাল, মু-া, হো, কোরওয়া, জুয়াং, কোরবু প্রভৃতি সম্প্রদায় ব্যবহার করে। মাহালি ভাষার লিখিত কোনো বর্ণ না থাকলেও ইদানীং কিছু প্রতিষ্ঠান মাহালি ভাষা লেখার নিয়ম উদ্ভাবন করেছে। সে হিসেবে মাহালি ভাষায় ৪০টি বর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি স্বরবর্ণ ও ৩৫টি ব্যঞ্জনবর্ণ। কিন্তু বাস্তবে মাহালিদের ভাষার সঙ্গে তা পুরোপুরি মেলে না।
ভাবের বাহন ভাষা। ভাষাকে ধরে রাখার জন্য  বর্ণের আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু এখনো আদিবাসীদের ভাষাগুলো বর্ণময়তা পায়নি। বরং অন্যান্য ভাষার আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে আদি ভাষাগুলো। আদিবাসী গ্রাম থেকে যখন ফিরছি তখন চারদিকে নিঝুম অন্ধকার। রাস্তার পাশে পাখা মেলেছে শত শত জোনাকি। আকাশে অসংখ্য তারার মেলা। দূরের গ্রামগুলোতে থেমে বাজছে  মাদল, ঢোল আর মন্দিরা। চলছে আদি মানুষদের ভাষায় গান। ধীরে ধীরে পেছনে পড়ে যায় গ্রামগুলো। ক্রমেই অন্ধকারের মাঝে হারিয়ে যায় আদি মানুষদের কণ্ঠগুলো।

 লিখাটি প্রকাশিত হয়েছে সাপ্তাহিকে ৩ জুন ২০১০

© 2011 – 2018, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button