আদিবাসী

জাতির নাম কেন ‘কড়া’

সমতলের আদিবাসী-০১

বাঙালি ছাড়াও এ দেশে বসবাস করছে আরো অনেক জাতি। যারা আদিবাসী নামেই অধিক পরিচিত। ‘কড়া’ তেমনই একটি জাতির নাম। এ আদিবাসীরা নিজস্ব ধারার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করে গড়ে তুলেছে বৈচিত্র্যময় জীবন প্রণালি। কিন্তু এ দেশ থেকে  জাতিটি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। কড়া জাতির ভাষা, সংস্কৃতি ও আচারগুলো সমৃদ্ধ করেছে আদিবাসী সংস্কৃতিকে। জাতিটিকে তাদের স্বকীয়তাসহ টিকিয়ে রাখা বিশেষ প্রয়োজন। ফলে সরকার ইতিমধ্যে কড়া জাতিটিকে তাদের তালিকাভুক্ত করে নিয়েছে।

বাংলাদেশে টিকে থাকা এ আদিবাসীদের একমাত্র গোত্র প্রধানের নাম জগেন কড়া। তিনি জানান  ‘কড়া’ মানে মাটি খোঁড়া। কোন এক সময় এ আদিবাসীরা দীঘি খোঁড়ার কাজে যুক্ত ছিল। সে থেকেই এদের ‘কড়া’ নামকরণ হয়েছে। ইংরেজ আমলে ভারতজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বসেছে রেললাইন। পাহাড় কেটে, মাটি খুঁড়ে সেই রেললাইন বসানোর কাজে ঘাম ঝরিয়েছে এই আদিবাসীরাই। মূলত রেললাইনের কাজের সূত্র ধরেই ভারতের ঝাড়খণ্ড স্টেট থেকে এদের আগমন ঘটে এ অঞ্চলে। এক সময় দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কড়াদের একাধিক গ্রাম ছিল। নানা কারণে এরা পাড়ি জমায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। এখনো ভারতের ঝাড়খণ্ড স্টেটের দুমকা, গোড্ডা,পাকুর, শাহীবগঞ্জ, হাজারিবাগ প্রভৃতি অঞ্চলে কড়াদের বসবাস রয়েছে।

এ দেশে কড়া আদিবাসীদের একমাত্র গ্রামটি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার হালজায় মৌজায়, ঝিনাইকুড়ি গ্রামে। এখানে বাস করে কড়াদের ১৬টি পরিবার। এ ছাড়া বৈরাগীপাড়ায় একটি এবং দিনাজপুর সদর উপজেলার ঘুঘুডাংগার খাড়িপাড়ায় রয়েছে আরো দুটি পরিবার। সব মিলিয়ে এ দেশে কড়াদের মাত্র ১৯টি পরিবার টিকে আছে। তাদের মোট জনসংখ্যা ৮৫জন। যার মধ্যে শিশুদের সংখ্যা ত্রিশ।

কড়া আদিবাসীদের গ্রামগুলো পরিচালিত হয় তিন সদস্যের গ্রাম পরিষদের মাধ্যমে। গ্রাম প্রধানকে এরা বলে মাহাতো। এ ছাড়া  রয়েছে গোড়াৎ ও পারামানি নামের দুটি পদ। আগে কড়াদের কয়েকটি গ্রামের একজন প্রধান থাকত। তাকে বলা হতো ‘পাঁড়ে’। এরা গ্রামপরিষদের পদগুলো নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, সবার মতামতের ভিত্তিতে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য তৈরি হয় না। আদিতে কড়াদের গোত্র ছিল ১১টি। তাদের ভাষায়  ছাগের পেরিস, হারদি পেরিস, সানদোয়ার পেরিস, চিরু পেরিস, তামগিরিয়া পেরিস, কাচদি পেরিস, কড়ি পেরিস, নাগরু পেরিস, শুয়ের পেরিস, কৃষার পেরিস ও তিরকী পেরিস। তবে তারা মনে করে একসময় তাদের সমাজে আরো কয়েকটি গোত্র ছিল। তবে অধিকাংশ গোত্রই এখন বিলুপ্ত হয়ে মাত্র কয়েকটি গোত্র নিয়ে চলছে কড়াদের সমাজব্যবস্থা। এদের সমাজে  একই গোত্র বা পেরিসের লোককে একই রক্তের সম্পর্ক ধরা হয়। ফলে একই গোত্রে বিয়ে একেবারেই নিষিদ্ধ ও পাপের সমতুল্য মনে করা হয়।

এ আদিবাসীদের প্রধান খাবার ভাত। এদের পছন্দের খাবারের মধ্যে ঘংঘি (শামুক), মুসা (ইঁদুর), খোকরা (কাকড়া), কুচিয়া, দুরা (কচ্ছপ), ধারা, ঝিনুক, কুকুরী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ‘হাড়িয়া’ এদের প্রিয় পানীয়। উৎসব ও পূজাপার্বনে হাড়িয়ার ব্যবহার আদিবাসী রেওয়াজের অংশ।  এই আদিবাসীদের বাড়িগুলো হয় মাটি আর ছনে ছাওয়া। এদের ঘরগুলোতে কোনো জানালা থাকে না। আদি থেকেই এদের বিশ্বাস অপদেবতার কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতেই ঘরে জানালা রাখা হয় না। কড়া নারীদের এক সময় নিজস্ব পোশাক ছিল। কড়া ভাষায় এটি ‘পেনছি’। বর্তমানে শাড়ি সস্তা হওয়ায় অধিকাংশ নারীই পেনছি ব্যবহার করে না। এ ছাড়া এ আদিবাসী সমাজে অলংকার হিসেবে রূপার মালা, কানসি, ঝুমকা, ফুটকি (নাকের ফুল), ঘড়কে পেনজাল (পায়ের নুপূর) প্রভৃতি ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। এ আদিবাসী সমাজে নারী-পুরুষ উভয়েই কাজ করে। এদের প্রধান পেশা কৃষি। ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক এ তিন মাস  কড়াদের অভাব থাকে। এ সময় তাদের কোনো কাজ না থাকায় মহাজনদের কাছে আগাম শ্রম বিক্রি করে এরা পরিবার চালায়। ফলে ফসল কাটা বা লাগানোর সময়টাতে মাঠের কাজের পারিশ্রমিক বেশি হলেও মহাজনদের জমিতে কড়াদের আগের রেটেই কাজ করে কর্জ মিটাতে হয়। ফলে প্রকৃত মজুরি পাওয়া থেকে এরা বঞ্চিত হয়। কৃষি ছাড়াও বর্তমানে এরা ভ্যান চালানোসহ অন্যান্য কাজে যুক্ত রয়েছে।

কড়ারা কথা বলে ‘খট্টা’ ভাষায়। তবে এ ভাষার লিখিত কোনো বর্ণ নেই। ভাষাটি পুরোপুরি মৌখিক। কড়া ভাষায় মাকে এর ‘মেয়া, বাবাকে ‘বাপা, বোনকে  ‘বোহেইন, তিরকে ‘বিজার, ধনুককে ‘ধেনি, সূর্যকে ‘বেড়া’, রাতকে ‘রাইত, সকালকে ‘বিহান, মাছকে ‘মাছরি’ ও নদীকে ‘নেদি’ বলে। তোমার নাম কী?  কড়া ভাষায় বলে,  ‘তোর নাম কয়েন লাগল।  আপনি কেমন আছেন?  তারা বলে  ‘তোহনি কুরাং কে হে?। এ আদিবাসী শিশুরাও তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষালাভ থেকে বঞ্চিত। এনজিওনির্ভর শিশুশিক্ষা কেন্দ্রই এদের একমাত্র ভরসা। কড়া আদিবাসী গ্রামে লাপন কড়া, কাঞ্চন কড়া আর বিজন কড়া এই তিনজন এসএসসি উত্তীর্ণ হয়েছে। বর্তমানে কড়া শিশুরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে বাংলা ভাষায়।

কড়া আদিবাসীরা নবজাতক জন্মানোর ৭ বা ৯ দিনের দিন নাপিত ডেকে গোত্রের সবার চুল দাড়ি কেটে শুদ্ধি করায়। ওইদিনই নবজাতকের নাম রাখা হয় এবং সবার জন্য ভোজের ব্যবস্থা হয়। কড়া ভাষায় এটি ‘ছেটি’। এ আদিবাসী সমাজে নবজাতককে নাম দেওয়ার দায়িত্ব থাকে গোত্রপ্রধান বা মাহাতোর ওপর।

কড়াদের মৃত্যু হলে তার লাশ গোসল করিয়ে লম্বালম্বিভাবে সাদা কাপড় পরানো হয়। অতঃপর মাটির পাতিলে জ্বালানো আগুন রেখে পাতিলগুলো দেওয়া হয় ১০ জনের হাতে। কোনো মন্ত্র পাঠ ছাড়াই লাশটিকে ১০ জনে নিয়ে যেতে থাকে কবরস্থানের দিকে। সবার সামনে থাকেন গোত্রের মাহাতো। তার গলায় বাধা গামছায় থাকে খই আর সরিষা। বাড়ি থেকে লাশ নেওয়ার সময় থেকেই মাহাতো খই আর সরিষা ছিটাতে থাকেন।

কোনো বাঁশ ছাড়াই কড়ারা মৃত দেহ মাটিচাপা দেয়। কবরে মৃতের মাথা থাকে উত্তরে আর পা দক্ষিণে। এরা বিশ্বাস করে ছয় মাস পর্যন্ত মৃতের আত্মা বাড়ির চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। তাই মৃতের বাড়িতে তার স্বজনরা বিধান অনুসারে তিনদিন রান্নায় হলুদ ও লবণ ব্যবহার করে না। তিন দিন পরে বাড়িতে হয় ‘তেলখের অনুষ্ঠান’। ওইদিন গ্রামে নাপিত এসে সবার চুল ও দাড়ি কামিয়ে দেয়।  আর মেয়েদের কানি আঙ্গুলের নখ ব্লেড দিয়ে হালকা ভাবে ঘষে দেওয়া হয়। কড়াদের বিশ্বাস এতে গোটা গ্রামের শুদ্ধি ঘটে।

কড়াদের বিয়েতে ঘটক লাগে। ঘটককে এরা বলে ‘এগুয়া’। পাত্রীপক্ষের সম্মতিতে ঘটক পাত্রপক্ষকে পাত্রী দেখাতে নিয়ে যায়। আদি নিয়মানুসারে পাত্রীপক্ষ বরপক্ষকে এ সময় মাছ-মাংস বাদে শুধু নিরামিষ, ডাল-ভাত দিয়ে আপ্যায়ন করেন। তবে হাড়িয়া পরিবেশন না করলে পাত্রপক্ষকে অসম্মান করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। পাত্র পছন্দ হলে এ অনুষ্ঠানেই বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত করা হয়।

কড়াদের বিয়েতে লগনের কোনো বিষয় নেই। বিয়েতে যৌতুক নেওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ এবং তা পাপের সমতুল্য বলে মনে করা হয়। বরং বরকে পণ হিসেবে কনের বাবাকে তিন কুড়ি ১২ টাকা পরিশোধ করতে হয়। পণ পরিশোধের পরই বিয়ের লগোন বাঁধে কড়ারা।

আদি রীতি মেনে লগোন বাঁধা হয় বিয়ের পাঁচ দিন আগে। এতে  কাঁচা হলুদ, কাঁঠাল পাতা, আলোয়াচাল, দুর্বা ঘাস, আট আনা পয়সা, একটি পিঁড়ি, সাদা মার্কিন কাপড়, সুতা প্রভৃতির প্রয়োজন হয়।

এ সময় দুই পক্ষের মাহাতো মুখোমুখি বসেন। পেছনে বসে পাঁচজন করে লোক। প্রথমে দুটি কাঠাল পাতাকে ভাজ করে বিশেষ ধরনের দুটি ঠোঙা তৈরি করা হয়। ঠোঙায় রাখা হয় হলুদ, আলোয়াচাল, আট আনা, দুর্বাঘাস প্রভৃতি। অতঃপর দুটি আলাদা সুতায় প্রতিটিতে বিশেষ ধরনের পাঁচটি করে গিট দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে একদিন অতিবাহিত হলেই পক্ষদ্বয় সুতার একটি করে গিট খুলে নেয়।

সুতা দুটিকে রাখা হয় কাঁঠাল পাতার ঠোঙায়। বড় সাদা মার্কিন কাপড় নিয়ে এর দুই পাশেও বিশেষ ধরনের গিট দেয় কড়ারা। প্রথমে কাঁঠাল পাতার ঠোঙা দুটিকে দুই পক্ষের মাহাতো পাঁচবার অদলবদল করে নেন। এর পরই ঠোঙ্গা দুটিকে রাখা হয় সাদা মার্কিন কাপড়ের দুই গিটের ভেতরে। মাহাতোরা তখন টান দিয়ে কাপড়ের গিটকে শক্ত করে বেঁধে দেন। কড়া ভাষায় একে বলে ‘লাগান বান্ধা’।

এ আদিবাসী বিয়েতে হলুদ দেওয়াকে বলে ‘তেল হারদি। এটি হয় বিয়ের দুই দিন আগে। এ সময় দুই পক্ষের বাড়িতে প্রতি সন্ধ্যায় বর বা কনেকে হলুদ মাখানো হয়। তেল হারদির সময় সবাই হাড়িয়া খায় আর নাচগান করে আনন্দ করে। বর-কনেকে গোসল করানো হয় পাঁচ দিন পর অর্থাৎ বিয়ের দিন।

বিয়েতে বর ও কনে উভয়ের বাড়ির উঠানে পাতা দিয়ে মোড়ানো মাড়োয়া তৈরি করা হয়। প্রথমে মাটি উঁচু করে জায়গাটিকে লেপা হয়। অতঃপর চারকোণে চারটা কলাগাছ ও ভেতরে একটি বাঁশ গেরে দেওয়া হয়। মাড়োয়ায় রাখা হয় আমের পাতা, মহুয়া পাতা, পানি ভর্তি দুইটি কলস, দুইটি প্রদীপ, চারটি তীর প্রভৃতি। এরপর কাল সাট লিয়া (মাটির ঘটি বিশেষ) রেখে পুরো মাড়োয়া সুতা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া বিয়ে বাড়িতে বাঁশ দিয়ে উঁচু করে টানাতে হয় ‘বাদর’। খর দিয়ে মানুষের প্রতিকৃতি তৈরি করে তাতে তীর ধনুক লাগিয়ে তৈরি করা মূর্তি বিশেষকে কড়ারা ‘বাদর’ বলে। এদের বিশ্বাস এতে বিয়ের আগ পর্যন্ত বাড়িতে কোনো অশুভ আত্মা আসতে পারে না। এ ছাড়া এ বানরাকৃতি ঝুলতে দেখলে সমাজের লোকেরাও বিয়ের বিষয়টি বুঝতে পারে।

কড়াদের বিয়েতে বর ঘটি হাতে নিয়ে কানি আঙুলে সুতা বেঁধে প্রথমে নিজ বাড়ির মাড়োয়ার চারপাশে পাঁচ পাক দিয়ে ঘের তৈরি করে নেয়। অতঃপর বরকে মাড়োয়ার ভেতরে এনে বসিয়ে খির খাওয়ানো হয়। এ সময় নাউয়া (নাপিত) এসে বরের চুল, দাড়ি কামিয়ে দেয় এবং কানি আঙুল কেটে সামান্য রক্ত নিয়ে, তার সাথে চাল মিশিয়ে আমপাতায় মুড়িয়ে তা বেঁধে দেওয়া হয় বরের হাতে। কড়া ভাষায় এটি ‘নিউওয়ে’। একইদিন বরের বাড়ির মতো কনের বাড়িতেও নাপিত আসে এবং একই আচারের মাধ্যমে তাকেও গোসল করানো হয়। বিয়েতে কনেকে গোসল করাতে লাগে ১০ জন লোক। পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন মেয়ে হতে হয়। গোসলের পরই বিয়ের শাড়িতে সাজানো হয় কনেকে।

কড়া আদিবাসী বিয়েতে পণে হিসেবে মেয়েপক্ষকে সাতটি শাড়ি, তিন সের খাবার তেল, তিন পুরিয়া সিঁদুর আর ‘ডারিয়া ঝোপা’ (কোমরে সাজানোর এক ধরনের উপকরণ) দেওয়ার রীতি চালু আছে। বিয়ের মূল পর্বকে এরা বলে বিহা। কনের বাড়ি দূরে হলে সকালে আর কাছাকাছি হলে বরপক্ষ সন্ধ্যা রাতেই রওনা হয়।

বিয়ের দিন বরপক্ষ সরাসরি কনের বাড়িতে ঢুকতে পারে না। প্রথমে বাড়ি থেকে দূরে গাছের ছায়ায় বা কোনো ডেরায় তাদের বসানো হয়।

কনেবাড়ি থেকে তখন ঘুইটা (শুকানো গবর বিশেষ), মশাল, পানি ভর্তি একটি মাটির ঘটি ও পাতাসমেত আমের ডাল নিয়ে আসা হয়। অতঃপর আম পাতা পানিতে ভিজিয়ে বরপক্ষের প্রত্যেককে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এর পরই বর ও কনের বাবা মাটির ঘটি অদল বদল করে নেন। বরকে কোলে করে নিয়ে আসে তার শ্যালকরা। বাড়িতে এনে প্রদীপ, ধান ও ঘাস দিয়ে বরণ করে রূপার আংটি পরিয়ে তাকে খাওয়ানো হয় গুড়। কড়া ভাষায় এটি ‘গুড় খিলা’।

বিয়ের মূল পর্বকে এরা বলে ‘সিমরেত হতে’ বা সিঁদুর পর্ব। এই পর্বটি বেশ নাটকীয়। কনের ভাইকে উঠতে হয় তার দুলাভাইয়ের কাঁধে আর বরকে গামছা নিয়ে উঠতে হয় তার দুলাভাইয়ের (বোহনে) কাঁধে। এ অবস্থায় বর তার কাছে থাকা গামছাটি শ্যালককে দিয়ে দেয়। আর শ্যালক ওই অবস্থায় বরকে পান খাইয়ে দেয়। পান খাওয়ানোর পর শ্যালক ওই গামছাটি বরের কাঁধে পরিয়ে দেয়। গামছা পরানোর সঙ্গে সঙ্গেই বর কাঁধ থেকে নেমে চলে আসে সাজানো মাড়োয়ার দিকে। কনেকেও সেখানে আনা হয়।

লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে এনটিভিবিডি ডটকমে, প্রকাশকাল: ১২ অক্টোবর ২০১৯

© 2019, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button