বীরপ্রতীক সাইদুর রহমানের সঙ্গে
এক বীরপ্রতীকের জীবন কাটছে প্রায় নিভৃতে, টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার কুষ্টিয়া গ্রামে। নাম সাইদুর রহমান। বয়স সত্তরের ওপরে। গতকাল বিকেলে তার বাড়িতে বসে আলাপ হয় যুদ্ধদিনের অজানা সব ঘটনা নিয়ে। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন করোটিয়া কলেজে ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র। তখনই ছয় মাসের পাকিস্তান ক্যাডেট কোর্স সমাপ্ত করেন। সেনাবাহিনীতে যোগদানের সুযোগ থাকলেও তিনি তা করেননি। একাত্তরে অসংখ্য অপারশনে অংশ নিয়েছিলেন। কাদেরীয়া বাহিনীর আটাশ নম্বর হিরু কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন এই বীর যোদ্ধা। পঁচাত্তরের পনের আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এই হত্যার প্রতিবাদ করতে তিনি অস্ত্র তুলে নেন সীমান্ত এলাকায়। তখন মাত্র দশদিনের শিশুসম্তানকে রেখেই সীমান্তের ওপারে চলে যান। পরিবার জানতো তিনি বেঁচে নেই। আশি সালের পরে আবার বাড়ি ফিরে আসেন। দুবার স্ট্রোক করেছেন এই বীর। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর কথা উঠলে এখনো নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না। একেকজন মুক্তিযোদ্ধার জীবনের গল্পই মুক্তিযুদ্ধের একেকটি ইতিহাস। সে ইতিহাস আমরা কতটুকুইবা সংগ্রহ করতে পারছি? মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমানের যুদ্ধস্মৃতি নিয়ে লেখা ও ভিডিও আসছে শীঘ্রই।
© 2020, https:.